সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম, লেনদেন ও বাজার মূলধন। বাজার সংশ্লিষ্টরা বাজারের এই অবস্থানকে মূল্যসংশোধন বলে মনে করেন।
সূচকের ওঠা-নামার মধ্য দিয়ে ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরু হয়। যা দুপর পৌনে ১২টা পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো। তবে দিনের বাকি লেনদেন হয় সূচক পতনের মধ্য দিয়ে। দিন শেষে ডিএসইতে সূচক কমেছে ৩২পয়েন্ট। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কমেছে ৪৮ পয়েন্ট।
এর আগের গত রোববার ডিএসইতে সূচক ১ পয়েন্ট কমার পর টানা তিন কার্যদিবস সূচকের উত্থান হলো। তবে তার আগে টানা ছয় কার্যদিবস উভয় বাজারে উত্থান হয়েছিলো।
ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৩১ কোটি ৭৫ লাখ ৪৪ হাজার ৮৯৯টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫ কোটি ৪৬ লাখ ৪ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ১৬৪ কোটি ৯২ লাখ ৫ হাজার টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ২২৩ কোটি ৭৪ লাখ ১৬ হাজার টাকার। তারও আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৬ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
তিন সূচকে পথ চলা ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৩২ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ১৭ পয়েন্টে বেড়ে ২ হাজার ১০৩ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ্ সূচক ১০ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩০৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯২টির, কমেছে ১৯৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টি কোম্পানির শেয়ার।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৪৮ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬২কোটি ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ৩৯ লাখ ৬৯ হাজার ৬২ টাকার।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ৭২টির, কমেছে ১৫৫টি এবং ৩১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ