অস্বাভাবিক হারে (১৫ টাকা থেকে ২৩ টাকা ৬০ পয়সা দামে) শেয়ারের দাম বাড়ায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে কারণ জানতে চেয়েছে ডিএসই ও সিএসই কর্তৃপক্ষ। জবাবে কোম্পানি জানিয়েছে, শেয়ারের দাম বাড়ার বিষয়ে তাদের কাছে সংবেদনশীল কোনো তথ্য নেই।
ডিএসইর তথ্য মতে, কোম্পানিটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের হাতে রয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ১৭ দশমিক ২৩ শতাংশ আর বাকি ৭৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ রয়েছে, কোম্পানির একাধিক পরিচালক ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেনামে শেয়ার ব্যবসায় জড়িত। কোম্পানির মূল ব্যবসাকে চাঙা করার চেয়ে নিজ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে ব্যবসা করার প্রতিই তাদের ঝোঁক বেশি। কোম্পানির পারফরম্যান্স নয়, তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর ভিত্তি করে শেয়ারের দাম ওঠা-নামা করে।
ফলে ২০০১২ সালে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১ টাকা ৪১ পয়সা। পরের বছর ২০১৩ সালে ২৭ শতাংশ কমে হয় ১ টাকা ৩ পয়সা। ২০১৪ সালে ইপিএস দাঁড়ায় ৯১ পয়সা। তবে এরপর বছর ২০১৫ সালে ইপিএস বেড়ে হয় ১ টাকা ৫২ পয়সা। ইপিএস বৃদ্ধির হার প্রায় ৬৭ শতাংশ। কিন্তু ২০১৬ সালে আবার ২৭ শতাংশ কমে ইপিএস দাঁড়ায় ১ টাকা ৩ পয়সা।
অন্যদিকে কোম্পানিটির স্বল্প মেয়াদী ঋণ রয়েছে ১০ কোটি টাকা এবং দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ রয়েছে ১কোটি ৯৭ লাখ ৩ হাজার টাকা। এগুলো বাড়তেই আছে।
উল্লেখ্য, যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত খাদ্য-পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড ১৯৯৭ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন করে। মাত্র তিন বছরের মাথায় ২০০০ সালে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। পরবর্তীতে বিদেশি উদ্যোক্তারা ধীরে ধীরে তাদের শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে কোম্পানিটি থেকে সরে যায়। বিশেষ করে ২০০৯-১০ সালে চাঙা পুঁজিবাজারে চড়া দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে সব শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৭
এমএফআই/এমজেএফ