বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) প্রতিনিধির সঙ্গে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশের (সিডিবিএল) এমডি-চেয়ারম্যান ও পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেমের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সদস্য থাকবেন ডিএসইর এমডি কেএএম মাজেদুর রহমান, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) একজন, সিডিবিএ একজন এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্য থেকে একজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
নতুন এ কমিটি ক্লিয়ারিং অ্যান্ড স্যাটলমেন্ট কোম্পানি সম্পূর্ণরূপে গঠন করার পাশাপাশি প্রকাশিত বিধিমালা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করবে।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী। তিনি বলেন, বিকেল তিনটায় ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোম্পানি গঠন ও বাস্তবায়ন নিয়ে একটি সভা হয়েছে। সভায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের পুঁজিবাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের বাজারকে এগিয়ে নিতে ইক্যুইটি নির্ভর পুঁজিবাজার গড়তে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে বাজারে লেনদেন ও গভীরতাও বাড়বে।
আইন অনুযায়ী ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোম্পানিটির ৩০০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করবে। দুই স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার থাকবে ৬৫ শতাংশ। তবে একটি স্টক এক্সচেঞ্জ এককভাবে সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারবে। বাকী শেয়ারের মধ্যে সিডিবিএল ১০ শতাংশ, কৌশলগত বিনিয়োগকারীরা নিবেন ১০ শতাংশ। তবে কৌশলগত বিনিয়োগকারী না পাওয়া পর্যন্ত এ শেয়ারগুলো সিডিবিএলের কাছে থাকবে।
কৌশলগত বিনিয়োগকারী পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেসভ্যালুতে ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে শেয়ারগুলো হস্তান্তর করবে সিডিবিএল। আর সব ব্যাংক মিলে বাকী ১০ শেয়ারের মালিক হবে। তবে একটি ব্যাংক এককভাবে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারবেন।
অন্যদিকে এ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য থাকবে ১১ জন। এদের মধ্যে ৬ জন থাকবে স্বতন্ত্র পরিচালক। বাকী পরিচালকদের মধ্যে প্রতি স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে থাকবে একজন করে সদস্য। বাকী শেয়ারের মালিকদের মধ্য থেকে ২ জন পরিচালক মনোনীত করা হবে। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদাধিকার বলে পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে থাকবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ