এই অবস্থায় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গুজব ছড়িয়ে পাঁচ কোম্পানির শেযারের অস্বাভাবিক দর বাড়ানো হয়েছিলো কিনা তা খতিয়ে দেখতে সোমবার (জুলাই ২৪) তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিএসইসি’র তথ্যমতে, প্রকৌশল খাতের কোম্পানি আজিজ পাইপের শেয়ারের দর বাড়তে শুরু করে ১৯ জুন থেকে। এদিন শেয়ারটি ৬৮ টাকায় বিক্রি হয়। এই দর বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত ছিলো ১৬ জুলাই পর্যন্ত। এদিন শেয়ারটি বিক্রি হয় ১২০ টাকা দরে। অর্থাৎ ২৭ দিনে শেয়ারটির দর বৃদ্ধি হয় ৫১ টাকার বেশি। তবে তারপর দিন থেকে শেয়ারটির দাম কমতে থাকে।
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের বাংলাদেশ ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ইলেক্ট্রোডসের শেয়ারের দর বাড়তে থাকে ১ জুন থেকে। এই দিন শেয়ারটি কেনা-বেচা হয় ১৩ টাকায়। যা অব্যাহত ছিলো ২৯ জুন পর্যন্ত। এদিন শেয়ারটি কেনা-বেচা হয় ২৩ দশমিক ৭০ টাকায়।
একইভাবে খাদ্যখাতের বিচ হ্যাচারির শেয়ারের দাম ১৭ জুন থেকে বাড়তে থাকে। এদিন এটি ১৭ দশমিক ২২ টাকায় কেনা-বেচা হয়। সেই শেয়ার ২ জুলাই পর্যন্ত বেড়ে ২২ দশমিক ২৩ টাকায় কেনা-বেচা হয়।
এ খাতের অপর কোম্পানি ফু ওয়াং ফুডের শেয়ার বিক্রি হয় ২২ জুন ১৫ দশমিক ৮০ টাকায়। সেখান থেকে বেড়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত ২৩ দশমিক ৬০ টাকায়।
এ ছাড়া কাগজ খাতের খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড ৭ টাকা ৯৮ পয়সা থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত কেনা-বেচা হয় ১৩ টাকা টাকায়। এখন এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম প্রতিদিনই কমছে।
বিএসইসি’র পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে প্রধান করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের উপ-ব্যবস্থাপক মো. একরাম হোসেন এবং সহকারি এক্সিকিউটিভ বদরুল ইসলাম শাওন।
এর আগের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে অস্বাভাবিক হারে এসব কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিল। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের কাছে দর বৃদ্ধির সংবোদনশীল কোনো তথ্য নেই।
বাংলাদেশ সময়:২১২০ ঘণ্টা, ২৪ জুলাই, ২০১৭
এমএফআই/জেএম