নতুন অর্থবছরের প্রথম অর্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণার এই দিন সূচকের পাশাপাশি বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও বেড়েছে। বুধবারের দরবৃদ্ধির ফলে টানা তিন কার্যদিবস সূচক বাড়লো।
এর আগে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার উভয় বাজারে মূল্যসংশোধন হয়েছিলো। তবে তার আগের টানা তিনদিন সূচক বেড়েছে। বুধবার ডিএসইতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন চলে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। তবে এরপর শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচক পতন। যা অব্যাহত ছিলো পৌনে ১২টা পর্যন্ত। কিন্তু মুদ্রানীতির ঘোষণার পর থেকে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ায় দিনের বাকি লেনদেন হয় সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়।
দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ২২পয়েন্ট। দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেড়েছে ২৮ পয়েন্ট।
ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার ডিএসইতে ১৯ কোটি ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ৬৭৭টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৬৩৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৬৫৬ কোটি ১৫ লাখ ২৪ হাজার টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৬৩১ কোটি ৩৯ লাখ টাকার। তারও আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৪৭৭ কোটি ৯৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।
তিন সূচকে পথ চলা ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২২ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৮২৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচক পাশাপাশি ডিএস-৩০ মূল্য সূচক ৭ দশমিক ১০ পয়েন্টে বেড়ে ২ হাজার ১৩১ পয়েন্ট এবং ডিএসইএক্স শরীয়াহ্ সূচক ৪ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭৭টির, কমেছে ৯৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৮টি কোম্পানির শেয়ার।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৮ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ১০ হাজার ৯০৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ২ লাখ ৪০ হাজার ৪১৩ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩০ কোটি ৭১ লাখ ২০ হাজার ৩১৫ টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ২০ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৮ টাকার।
লেনদেন হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪২টির, কমেছে ৮০টি এবং ৩৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৭
এমএফআই/আরআই