এ লক্ষ্যে সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয়, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (কমিশন), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বাংলাদেশ ব্যাংক, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ), দুই স্টক এক্সচেঞ্জ এবং কোম্পানিগুলো চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে দীর্ঘ ধরে বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা করে আসা এসব কোম্পনিগুলোকে কীভাবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করা যায় তা জানতে চেয়ে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে মতামত দিতে বলা হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গত মঙ্গলবার ইস্যু করা হয়।
এর আগেও গতবছরের ২০ নভেম্বর বহুজাতিক কোম্পানিকে কীভাবে বাজারে তালিকাভুক্ত করা যায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। পরে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি আরও এক দফা অগ্রগতি জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু তারপরও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় আবারও সুস্পষ্ট সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দ্য রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে (আরজেএসসি) নিবন্ধিত বহুজাতিক কোম্পানি রয়েছে ৩৫৫টি। এসব কোম্পানির মধ্যে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত রয়েছে ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো, গ্রামীণফোন, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশ, ম্যারিকো বাংলাদেশ, লিন্ডে বাংলাদেশ, রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ, হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড, সিঙ্গার বাংলাদেশ ও বাটা সু। এ ১১ কোম্পানির বাজার মূলধনের পরিমাণ ডিএসইর মোট বাজার মূলধনের ২৫.৮৮ শতাংশ।
অথচ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে চলতি বছরের ১৩ মে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, দেশের অভ্যন্তরে ব্যবসা পরিচালনাকারী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে। সেগুলোকে এখন পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির সময় এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৭
এমএফআই/এএ