বৃহস্পতিবার(১৭ আগস্ট)কিংবা রোববার(২০ আগস্ট) এই সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করবে কমিশন।
সূত্র জানায়, ২০১০ সালে মূল টাকার চেয়ে দেড়গুণ কিংবা দ্বিগুণ ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
এ বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ব্রোকারেজ হাউজের নেগেটিভ ইক্যুইটিতে থাকা বিনিয়োগ-হিসাবের শেয়ার কেনা-বেচার সময় বাড়ানো সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কতদিন বাড়ানো হবে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আশা করছি, দু’একদিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর ৩(৫) ধারা অনুযায়ী কোনো বিনিয়োগকারীর ডেবিট ব্যালেন্স ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে ওই হিসাবে শেয়ার কেনা-বেচা বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু ২০১০ সালের ধস পরবর্তী বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় কয়েক দফা ধারাটির কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ডিএসই নতুন করে স্থগিতাদেশের জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন বৈঠকে ওই ধারাটির কার্যকারিতা ৬ মাস স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সে মেয়াদ ১৮ আগস্ট শেষ হচ্ছে। আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাটির কার্যকারিতা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো না হলে ১৯ আগস্ট থেকে ঋণাত্মক মূলধনধারী হিসাবে আর লেনদেন করা যেত না।
মার্জিন ঋণ হচ্ছে বিশেষ ধরনের ঋণ-সুবিধা। শেয়ার কেনার জন্য ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহককে এই ঋণ দিয়ে থাকে। বিএসইসি প্রণীত মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর আওতায় এই ঋণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তবে যে বিএসইসির এই সময় বাড়ানোটা শুধু ব্রোকার হাউজের জন্য প্রযোজ্য।
অন্যদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকের গ্রাহকরা সবসময় নেগেটিভ ইক্যুইটির হিসাবে লেনদেন করতে পারেন। সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের সাথে মার্চেন্ট ব্যাংকের কোনো সম্পর্ক নেই।
বাংলাদেশ সময়:২১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৭
এমএফআই/জেএম