ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

নেগেটিভ ইক্যুইটি হিসাব লেনদেনের সময় বাড়ল আরো ১ বছর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
নেগেটিভ ইক্যুইটি হিসাব লেনদেনের সময় বাড়ল আরো ১ বছর

ঢাকা: ব্রোকারেজ হাউজগুলো থেকে মার্জিন লোন নিয়ে (নেগেটিভ ইক্যুইটি) ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবারো শেয়ার কেনা-বেচার সময় বাড়ালো পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা  বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৭আগস্ট) বিএসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশে ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত  এই সময় বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে নেগেটিভ ইক্যুইটিতে থাকা বিও অ্যাকাউন্টগুলোর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আরো এক বছরেরও বেশী সময় পাচ্ছে ক্ষতিগ্রস্তরা।

   
 
নেগেটিভ ইক্যুইটিতে আর যাতে কোনো বিনিয়োগকারীকে না থাকতে হয়ে নেই লক্ষ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রতিনিধিরা মার্জিন রুলসের সংশ্লিষ্ট ধারা শিথিল করে আরো ১ বছর সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। তার প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিলো কমিশন।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ব্রোকারেজ হাউজের নেগেটিভ ইক্যুইটিতে থাকা বিনিয়োগ হিসাবে শেয়ার কেনা-বেচার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সূত্র জানায়, ২০১০ সালে মূল টাকা চেয়ে দেড়গুণ কিংবা দ্বিগুণ ঋণ নিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছিলো বিনিয়োগকারীরা।
 
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর ৩(৫) ধারা অনুযায়ী, কোনো বিনিয়োগকারীর ডেবিট ব্যালেন্স ১৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেলে ওই হিসাবে শেয়ার কেনা-বেচা বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু ২০১০ সালের ধস পরবর্তী বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় কয়েক দফা ধারাটির কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়।
 
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ডিএসই নতুন করে স্থগিতাদেশের জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করে। এর প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন বৈঠকে ওই ধারাটির কার্যকারিতা ৬ মাস স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সে মেয়াদ আগামী ১৮ আগস্ট শেষ হচ্ছে। আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাটির কার্যকারিতা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো না হলে ১৯ আগস্ট থেকে ঋণাত্মক মূলধনধারী হিসাবে আর লেনদেন করা যেতো না।
 
মার্জিন ঋণ হচ্ছে বিশেষ ধরনের ঋণ সুবিধা। শেয়ার কেনার জন্য ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহককে এই ঋণ দিয়ে থাকে। বিএসইসি প্রণীত মার্জিন রুলস, ১৯৯৯ এর আওতায় এই ঋণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তবে যে সময়টি বিএসইসি বাড়িয়েছে তা শুধু ব্রোকার হাউজের জন্য প্রযোজ্য। অন্যদিকে মার্চেন্ট ব্যাংকের গ্রাহকরা সবসময় নেগেটিভ ইক্যুইটির হিসাবে লেনদেন করতে পারেন। সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের সাথে মার্চেন্ট ব্যাংকের কোনো সম্পর্ক নেই।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৭
এমএফআই/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।