বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিইএবি) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
বিশেষ অথিতির বক্তব্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সদস্য ড. স্বপন কুমার বালা বলেন, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করে ফান্ড বড় করতে পারবে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানিগুলো।
কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য আবেদন করলেই স্টক এক্সচেঞ্জকে চাপ দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জে শিগগিরই স্মল ক্যাপ বোর্ডের কার্যক্রম শুরু হবে। এটি হলে মাঝারি কোম্পানিগুলো তালিকাভুক্ত হতে পারবে। এটি ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিকাশে সহায়ক হবে।
এনবিআর সদস্য পারভেজ ইকবাল বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিকাশে করসুবিধাসহ সব ধরনের প্রণোদনার বিষয়ে ইতিবাচকভাবে চিন্তা করবে এনবিআর।
বাংলাদেশ ব্যাংকে পরিচালক ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশের পাশাপশি উন্নত দেশে পরিণত হতে হলে আমাদের বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। সেজন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানির মত নতুন নতুন সেক্টরে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফয়সাল আহমেদ বলেন, ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিকাশে অর্থ কোনো সমস্যা নয়। প্রধান চ্যালেঞ্জ আস্থার। যদি বিনিয়োগকারীরা বিশ্বাস করেন, তাদের বিনিয়োগ মোটামুটি নিরাপদ থাকবে বা ভালো রিটার্ন আসবে, তাহলে তারা বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন। এ ব্যাপারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করতে সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমন্বয় ও সামাজিক সংলাপ চালাতে হবে।
ভিসিপিইএবির সভাপতি শামীম আহসান বলেন, আজকের মাল্টি বিলিয়ন কোম্পানি ফেসবুক ও গুগলের ব্যবসা শুরু হয়েছিল ভেঞ্চার ক্যাপিটালের অর্থায়নে। যুক্তরাষ্টসহ উন্নত দেশগুলোর অনেক বড় বড় কোম্পানির বিকাশের পেছনে রয়েছে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের ভূমিকা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ