মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেড, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মধ্যে বিডিং প্রক্রিয়ায় ইস্যুমূল্য নির্ধারণে ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম সফটওয়ার ব্যবহার ও টেকনিক্যাল সহায়তা সংক্রান্ত এক ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা।
বসুন্ধরা পেপার মিলস এর পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন কোম্পানি সচিব নাসিমুল হাই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) একেএম মাজেদুর রহমান, প্রধান রেগুলিটরি কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান খান, বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (একাউন্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্স) মির্জা মুজাহিদুর ইসলাম ও অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (কোম্পানি এফেয়ার্স অ্যান্ড সেক্রেটারিয়েট বিভাগ) এম মাজেদুল ইসলাম এবং ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের চেয়্যারম্যান ও মার্চেন্ট ব্যাংক এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ প্রমুখ।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কোম্পানি সচিব নাসিমুল হাই বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। এই গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান মেঘনা সিমেন্ট মিলস পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। যা বাজার ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর আস্থা ফেরাতে পেপার মিলসও পুঁজিবাজারে আসছে।
কোম্পানিটি সম্পর্কে তিনি বলেন, পেপার মিলের টার্নওভার এক হাজার কোটি টাকা। মুনাফাও ভালো। বর্তমানে বিশ্বের ২৩টি দেশে পেপার রফতানি করা হয়। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে পরিধি আরো বাড়বে। ৫০টির বেশি দেশে রফতানি সম্ভব হবে। পেপার মিলসের তালিকাভুক্তির পর বসুন্ধরা গ্রুপের ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ও বসুন্ধরা এলপিজি গ্যাসকেও তালিকাভুক্ত করা হবে।
ডিএসইর এমডি মাজেদুর রহমান বলেন, ‘আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে কেবল টাকাই উত্তোলন হয় না, কর্পোরেট গভর্নেন্সের দিক থেকে বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কোম্পানি সখ্যতা ও সর্ম্পক তৈরি হয়। বসুন্ধরা গ্রুপের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানকে আমরা বাজারে আনতে চাই। আশা করি কেবল পেপার মিলস না, বসুন্ধরা গ্রুপের অন্যান্য ইউনিটও পুঁজিবাজারে আসবে। পেপাল মিলস ভালো অবস্থানে আছে। তালিকাভুক্ত হলে আরো ভালো করবে। তালিকাভুক্তিতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মোহাম্মদ এ হাফিজ বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যেও এক হাজার কোটি টাকার টার্নওভারের কোম্পানির সংখ্যা খুবই কম। বসুন্ধরা পেপার মিলসের টার্নওভার এক হাজার কোটি টাকা। এই কোম্পানির তালিকাভুক্তির মাধ্যমে বসুন্ধরা গ্রুপের অন্যান্য কোম্পানিও বাজারে আসবে।
সিএসই’র পক্ষে আইটি বিভাগের ডিজিএম হাসনাইন বারী বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে বসুন্ধরা পেপার পুঁজিবাজারের পরিবারভুক্ত হয়েছে। বাজারে এমন ভালো কোম্পানি আসলে বিনিয়োগকারীর আস্থা বাড়ে। তালিকাভুক্ত করণ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সব সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বসুন্ধরা পেপার শেয়ার ছেড়ে ২০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। কোম্পানিটির অনুমোদিত মুলধন ৫০০ কোটি আর পরিশোধিত মূলধন ১৪৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। বসুন্ধরা পেপারের তিনটি ইউনিট কাগজ ও কাগজজাত বিভিন্ন সামগ্রী উৎপাদন করে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করছে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে মেঘনাঘাটে ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ এবং মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ইউনিট-৩ চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬,২০১৭
এমএফআই/আরআই