১২৫ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া বিডিং শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৫টায়।
এ সময়ে বিডারদের ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে।
২০১৭ সালের সংশোধিত বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে বসুন্ধরা পেপারের বিডিং প্রক্রিয়া শুরু হয়। নিয়ম মতে ন্যূনতম ৫০ জন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীকে ১২৫ কোটি টাকার শেয়ার কেনার জন্য আবেদন করতে হয়। সেখানে বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার পেতে ৪৭৪ জন বিভিন্ন দামে আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ৮০ টাকার বেশি দামে ৯৬টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার কিনতে ২২০ কোটি ২৯ লাখ ৭৬ হাজার টাকার আবেদন করেছে। সে হিসাবেই প্রতিষ্ঠানের কাট অফ প্রাইস ৮০ টাকা হয়েছে।
আর কাট অফ প্রাইস ৮০টাকা নির্ধারণ হওয়া সাধারণ ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীরা বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার ৭২ টাকায় কিনতে আবেদন করতে পারবে। এর ফলে ১০ টাকা ফেসভ্যালু কোম্পানিটির প্রিমিয়াম দাঁড়াচ্ছে ৬২ টাকা। ৭২ টাকা দামে কোম্পানিটির মোট ৭৫ কোটি টাকার শেয়ার কিনতে পারবেন। ইলেক্ট্রনিক দরপ্রস্তাবের প্ল্যাটফর্মের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য মিলছে।
তবে এজন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) কাছে আবেদন করবে কোম্পানিটি। এরপর বিএসইসি অনুমতি দিলেই আইপিও আবেদনের সময়সূচি প্রকাশ করবে তারা।
পুঁজিবাজার থেকে বসুন্ধরা পেপার মিলস উত্তোলিত অর্থের একটি বড় অংশ দিয়ে কারখানার আধুনিকায়ন, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি এবং স্থাপন করবে কোম্পানিটি।
২০১০ সালের পর পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ ৫০৮ কোটি টাকা তুলেছিল জ্বালানি খাতের একটি কোম্পানি। এরপরে ২০০ কোটি টাকার বেশি কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করেনি। সে হিসাবে অন্যকম বৃহৎ কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে বসুন্ধরা পেপার মিলস।
বসুন্ধরার কোম্পানিটিকে আইপিওতে আনতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে ট্রিপল ‘এ’ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিস্টার টু দ্য ইস্যু হিসেবে রয়েছে এফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড। ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় একই গ্রুপের মেঘনা সিমেন্ট কোম্পানি। এখন পর্যন্ত কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। এ খাতে সাতটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম হলো মেঘনা সিমেন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ