বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অক্টোবর মাসে হঠাৎ করে বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোতে নজরদারি বাড়ায়। সেই সময় নিয়মের বেশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের কারণে সাতটি ব্যাংকে জরিমানা করা হয়।
এ ছাড়াও কম দামে শেয়ার কেনার পর এখন ভাল দাম শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা তুলে নিচ্ছেন তারা। ফলে এই দুই কারণে পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের লেনদেন কমেছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, অক্টোবর মাসে ডিএসইতে বিদেশি ও প্রবাসীদের মোট লেনদেন হয়েছে ৬৪২ কোটি ২ হাজার ৭৩২ টাকার। তার আগের মাস সেপ্টেম্বরে লেনদেন হয়েছিলো ৯৪৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। তার আগের মাস আগস্টে লেনদেন হয়েছিলো ৮৩৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার।
শুধু তাই নয়, অক্টোবরে ৬৪২ কোটি ২ হাজার লেনদেনের মধ্যে বিদেশিরা শুধু শেয়ার বিক্রি করেছেন ৩৯৬ কোটি টাকার। তার বিপরীতে ২৪৫ কোটি ১৩ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৮ টাকার শেয়ার কিনেছেন। অর্থাৎ এই মাসে ডিএসইতে নিট বিনিয়োগ হয়েছে ১৫১ কোটি ৭২ লাখ ৭৩ হাজার ৪৭৫ টাকা।
অথচ সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশি ও প্রবাসীদের মোট লেনদেন হয়েছিলো ৯৪৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার। এর মধ্যে ৫৬০ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছিলো। তার বিপরীতে ৩৮৬ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছেন।
তার আগের মাস আগস্টে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মোট লেনদেন হয়েছিলো ৮৩২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। এর মধ্যে ৪৩২ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার কিনেছে। আর বিক্রি করেছেন ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলাম মজুমদার বাংলানিউজকে বলেন, অক্টোবর মাসে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ নিয়ে ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর নির্দেশনার পর সব ধরনের বিনিয়োগকারী হাত গুটিয়ে নিয়েছে।
এ কারণে ডিএসইতে দৈনিক লেনদেন হাজার কোটি টাকার থেকে ৫০০ কোটি টাকায় নেমে আসে। এতে দেশি বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশি বিনিযোগকারাও নতুন করে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্ক হয়েছে।
তবে তারা নতুন করে বিনয়োগের জন্য উপযুক্ত কোম্পানি খুঁজছেন বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ