প্রতিষ্ঠানটির এখনো ৬১ শতাংশ অর্থ ব্যয় বাকি। বিনিয়োগকারীদের পেছনে তারা এই টাকা যথাযথভাবে খরচ না করে ব্যাংকে তা আমানত হিসেবে রেখে দিয়ে সুদ নিচ্ছে।
কোম্পানির পক্ষ থেকে গত নভেম্বর মাসে ডিএসইকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র দেখা গেছে। কোম্পানির এই প্রতিবেদনটির সময়সীমা ছিলো ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের(ডিএসই)র তথ্যমতে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর তালিকাভুক্ত হয় ‘আমরা নেটওয়ার্কস লিমিটেড’। সেই নিয়ম অনুসারে আগামী বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আইপিও’র সব অর্থ ব্যয় করার কথা। সেই লক্ষ্যে এর মধ্যে আইপিও ব্যয় বাবদ ২ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ১৭৩ এবং ব্যাংক লোন পরিশোধ বাবদ ১৮ কোটি ৫৯ লাখ ২১ হাজার ৪৮২টাকা ব্যয় করেছে।
কিন্তু কোম্পানির অবকাঠামো উন্নয়ন (বিএমআরই) বাবদ ১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩১ টাকা এবং সেন্টার স্থাপন বাবদ ১১ কোটি ৮০ লাখ ২ হাজার ৪০৬ টাকা ব্যয় করার কথা থাকলেও এখনো এখাতে কোনো অর্থ বিনিয়োগ করেনি তারা।
এছাড়াও ওয়াইফাই হটস্পট স্থাপনের জন্য ৭ কোটি ৪২ লাখ ৪ হাজার ৪০৮ টাকা ব্যয় করার কথা থাকলেও এখনো ৬কোটি ৭১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় করেনি।
প্রতিবেদন অনুসারে, বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে আইপিও‘র মাধ্যমে ৫৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেছিল আমরা নেটওয়ার্কস। গত ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এই টাকার মধে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে কোম্পানটি। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীদের ৩৪ কোটি ৭ লাখ ৭৮ হাজার ৯৯৩ টাকা এখনো ব্যয় করা বাকি রয়েছে। যা শতাংশের হিসেবে যা মোট অর্থের ৬০ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) এনামুল হক বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই আমরা আইপিওর টাকা বিনিয়োগ করবো।
তিনি বলেন, মেশিনারিজ এবং অবকাঠামোর কাজের প্রক্রিয়া চলছে এই জন্য টাকা ব্যাংকে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৭
এমএফআই/জেএম