বুধবার (০৭ মার্চ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসসি) কমিটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৫ মার্চ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছে। ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারীর প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করে পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিলো বুধবার।
ওইদিন সকালেই ডিএসইর পক্ষ থেকে কমিশনকে চীনের কনসোর্টিয়াময়ের কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়। প্রস্তাবের আলোকে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ আহমেদকে আহ্বায়ক ও নির্বাহী পরিচালক মো. মাহবুবুল আলমকে সদস্য সচিব করে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে বিএসইসি। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- নির্বাহী পরিচালক ড. এটিএম তারিকুজ্জামান ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম। গঠিত কমিটিকে ১০ কার্যদিবস সময় বেঁধে দেওয়া হয়। যার মেয়াদ শেষ হয় বুধবার।
কমিটি ডিএসইর প্রস্তাবনা যাচাই-বাছাই করে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ডিএসইকে প্রস্তাবের কিছু শর্তের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, ডিএসইর সঙ্গে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর চুক্তি যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী করাসহ বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে চীনের কনসোর্টিয়াম। যা বাংলাদেশের আইনের পরিপন্থী।
তারপর ডিএসই চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাবের বিষয়ে বিএসইসির ব্যাখ্যার জবাব দিয়েছে গত ৪ মার্চ (রোববার)। কমিটি ডিএসইর এই জবাব যাচাই-বাছাই করে দেখেছে যে, কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে চীনের কনসোর্টিয়ামের স্বার্থ রক্ষার্থে ডিএসই স্বপ্রণোদিত হয়ে অনেক শর্ত দিয়েছে।
কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের কনসোর্টিয়ামের স্বার্থ রক্ষার্থে শর্তগুলো ডিএসই কর্তৃপক্ষ নিজেই প্রস্তুত করে দিয়েছিলো। এক্ষেত্রে ডিএসই ২৫ শতাংশ শেয়ারধারীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে স্থানীয় ৭৫ শতাংশ শেয়ারহোল্ডারের স্বার্থ বিসর্জন কেনো দিতে চেয়েছে।
চীনের কনসোর্টিয়াম ২২ টাকা করে দেবে বলে ডিএসই সর্বত্র প্রকাশ করেছে। কিন্তু লভ্যাংশ দিলে সমপরিমাণ মূল্য কমে যাবে বলে প্রস্তাবিত ডকুমেন্টে বলা হয়েছে। এর ফলে শেয়ারের দাম ২২ টাকা কি করে থাকে?
বিএসইসির চিঠির জবাবে ডিএসই দাবি করেছে, চীনের কনসোর্টিয়ামের সব প্রস্তাব আইনসম্মত। তবে এতোগুলো বিরোধপূর্ণ শর্ত থাকার পরেও কিভাবে আইনসম্মত- প্রশ্ন বিএসইসি’র।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস