বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করে। এরপর জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ব্যাংক ঋণ-আমানতের অনুপাতের (এডি রেশি) হার কমানোর ইস্যু এবং ডিএসই’র কৌশলগত বিনিয়োগকারী নিয়ে ভারত-চীনের টানা ইস্যুতে জানুয়ারি থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত টানা তিন মাস পুঁজিবাজারে চলে দরপতন।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই দরপতনে সূচক ও লেনদেনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ফলে এই সময়ে কেবল ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারিয়েছে ৩৬ হাজার ২১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সরকারও হারিয়েছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। তবে আশার কথা হলো- এই দরপতনের সময়েও নতুন করে ১৮ হাজার বিনিয়োগকারীরা এসেছে।
সিডিবিএলের মতে, পুঁজিবাজারে চলতি বছরের প্রথম দিন বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স হিসাব (বিও অ্যাকাউন্ট) সংখ্যা ছিলো ২৭ লাখ ২১ হাজার ৭০২টি। সেখান থেকে বিগত তিন মাসে তা ৫৬ হাজার ৫৭৬টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ২৭৮টিতে। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ২৪ হাজার ৬৪৮টি, ফেব্রুয়ারিতে ১৮ হাজার ২২৯টি এবং মার্চ মাসে ১৩ হাজার ৭৩৩টি বিও অ্যাকাউন্ট বেড়েছে। নিয়ম অনুসারে একজন বিনিয়োগকারী একটি বিও অ্যাকাউন্ট করতে পারেন। সেই হিসাবে নতুন বিনিয়োগকারী বেড়েছে সাড়ে ৫৬ হাজার।
তিন প্রকার বিও হিসাবের মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩০ হাজার ২২টিতে, নারীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৪টি এবং কোম্পানির বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৭২টিতে।
অন্যদিকে একক বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৬টি, যৌথ বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ১০ লাখ ১১ হাজার ৩৮০টি এবং কোম্পানির বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১২ হাজার ৭২টি।
এছাড়া আবাসিক বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২৬ লাখ ৩ হাজার ৫৩০টি, অনাবাসিক বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ লাখ ৬২ হাজার ৬৭৬টি এবং কোম্পানির বিও অ্যাকাউন্টের ১২ হাজার ৭২টি।
এ বিষয়ে ডিএসই’র সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, মন্দা বাজারে বিও হিসাব বাড়াটা পুঁজিবাজারের জন্য ভালো খবর। কিন্তু নতুন করে যারা বিও অ্যাকাউন্ট করছেন তাদের বেশির ভাগই প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদনের বিনিয়োগকারী।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজার ভালো থাকলে সেকেন্ডারি মার্কেট বিনিয়োগকারী আরও বাড়তো।
বাজারের বর্তমান আকারের তুলনায় বিনিয়োগকারী কম বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৮
এমএফআই/এসআই