শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দরপতনে সূচক ও লেনদেনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ফলে এই সময়ে কেবল ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়েছেন ৪৫ হাজার ৮৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সরকারও হারিয়েছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। তবে আশার কথা হলো এই দরপতনের সময়েও নতুন করে ৬১ হাজার ৯৭৭ জন বিনিয়োগকারীরা বাজারে এসেছেন।
এ বিষয়ে ডিএসইর সাবেক সভাপতি শাকিল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, বিও বেড়েছে এটা পুঁজিবাজারের জন্য ভালো খবর। কিন্তু নতুন করে যারা বিও করছেন তাদের বেশির ভাগই প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) আবেদনের জন্য করছেন। সেকেন্ডারি মার্কেটের জন্য নয়।
সিডিবিএলের মতে, পুঁজিবাজারে চলতি বছরের প্রথম দিন বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স হিসাব (বিও অ্যাকাউন্ট) সংখ্যা ছিলো ২৭ লাখ ২১ হাজার ৭০২টি। সেখান থেকে গত ৫ মাসে বিও হিসাব ৬১ হাজার ৯৭৭টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ৮৩ হাজার ৬১৯টিতে।
এর মধ্যে সবশেষ মে মাসে বিও বেড়েছে ১ হাজার ৮৮৩টি। এর আগের মাস এপ্রিলে বেড়েছিলো সাড়ে ৪ হাজার। তার আগের মাস মার্চে বেড়েছিলো ১৩ হাজার ৭৩৩টি। এছাড়াও জানুয়ারিতে ২৪ হাজার ৬৪৮টি এবং ফেব্রুয়ারিতে ১৮ হাজার ২২৯টি বিও অ্যাকাউন্ট বেড়েছিলো। নিয়ম অনুসারে একজন বিনিয়োগকারী একটি বিও অ্যাকাউন্ট করতে পারেন। সেই হিসাবে নতুন করে প্রায় ৬২ হাজার বিনিয়োগকারী বেড়েছে।
তিন ধরনের বিও হিসাবের মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৪টিতে, নারীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৮২৮টি এবং কোম্পানির বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২৩৭টিতে।
অন্যদিকে একক বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ১৭ লাখ ৫৮ হাজার ৯০২টি, যৌথ বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ১০ লাখ ১২ হাজার ৪৮০টি এবং কোম্পানির বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১২ হাজার ২৩৭টি।
এছাড়াও আবাসিক বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ২৬ লাখ ৬ হাজার ৭৯০টি, অনাবাসিক বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৯২টি এবং কোম্পানির বিও অ্যাকাউন্টের ১২ হাজার ২৩৭টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৮
এমএফআই/জেডএস