সূচকের তেজিভাবের মধ্য দিয়ে এদিন সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে চলে ১০টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপে সূচক নিন্মমুখী হতে থাকে।
দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট। তবে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
এদিন সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেন। তবে কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারে দাম। অন্যদিকে সিএসইতে লেনদেন, সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সোমবার আর্থিক খাতে তালিকাভুক্ত ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ৭টির আর অপরিবর্তত রয়েছে ৪টির। অন্যদিকে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ৩৬টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৮টির, কমেছে ১৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন হয়েছে বিমা খাতের শেয়ারের।
এর ফলে টানা দুই কার্যদিবস দরপতনের পর সোমবার ডিএসইতে সূচক সামান্য বাড়লো। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার দিন এবং তার পরের কার্যদিবস রোববার টানা দুইদিন সূচক পতন হয়েছিলো। তবে সিএসইতে সূচক কমলো টানা তিনদিন।
ডিএসই’র তথ্যমতে, এদিন ৭ কোটি ৮৮ লাখ ৬৬ হাজার ১০৮টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৪৫০ কোটি ৭১ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৪০৭ কোটি ৭২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৪৫৪ কোটি ৪১ লাখ ১৩ হাজার টাকার।
ডিএসই’র তিন সূচকের মধ্যে ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৩ দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে পাঁচ হাজার ৩২৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই’র প্রধান সূচক বাড়লেও কমেছে ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ১ দশমিক ০৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৫২ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক ১ দশমিক ৪০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসই-তে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৭টির, কমেছে ১৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৪টির।
অপর বাজার সিএসই’র সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯১৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩৫ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার টাকার।
এ বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ১০৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জুন ১১,২০১৮
এমএফআই/জেডএস