তবে সূচক ও লেনদেন কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এতে উভয় বাজারে বিনিয়োগকারীদের মূলধন বেড়েছে চার হাজার ৮২৩ কোটি তিন লাখ টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য মতে, আলোচিত এই সপ্তাহে চারদিনে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে তিন হাজার ৫৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে তিন হাজার ৫৪১ কোটি ৯৯ লাখ আট হাজার ৭১৬ টাকার লেনদেন হয়েছিল। ফলে পরিসংখ্যান অনুসারে ৪৮৫ কোটি টাকা কমেছে। যা শতাংশের হিসাবে ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ।
পরিসংখ্যানে কমলেও দৈনিক হারে লেনদেন বেড়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক লেনদেন হয়েছিল ৭০৮ কোটি টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৭৬৪ কোটি টাকা করে।
আগের সপ্তাহের মতোই বিদায়ী সপ্তাহে তিন সূচকে পথচলা ডিএসই’র প্রধান সূচক ৪৩ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৩৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ডিএসই-৩০ সূচক ৩৩ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯২৬ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ২ দশমিক ৪৮ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২৬১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে বিদায়ী সপ্তাহে দাম বেড়েছে ১৬৩টির, কমেছে ১৬২টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের।
এর ফলে ডিএসইতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন এক হাজার ৬৬০ কোটি ৫০ লাখ ৩০ হাজার ১৯৫ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৮৬ হাজার ৩৯৫ কোটি ২৮ লাখ ১৯ হাজার ৬৬১ টাকায়। অথচ এর আগের সপ্তাহে তিন হাজার ৪১ কোটি তিন লাখ ৬২ হাজার ৪৫০ টাকা কমে তিন লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭৭ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৬ টাকায় দাঁড়িয়েছিল।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ২৬ পয়েন্ট কমে নয় হাজার ৯৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এই সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২১০ কোটি ৭০ লাখ ১৭ হাজার ৭৬৭ টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৩টির, কমেছে ১২৩টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টি কোম্পানির দাম। এ বাজারে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বাড়ায় বিদায়ী সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের মূলধন তিন হাজার ১৬২ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ১৬ হাজার ২৮২ কোটি টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
এমএফআই/টিএ