ডিএসই সূত্র জানায়, বুধবার (১৮ জুলাই) দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানি দুটির উৎপাদন বন্ধ। ভবিষ্যতে কোম্পানি দুটির উৎপাদন শুরুর কোনো সম্ভাবনা না থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসইর পরিচালনা পরিষদ।
এ বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রোডাশনে নেই কোম্পানি দুটি। তারপরও শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। যা পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের জন্য ক্ষতিকর।
তিনি বলেন, তাই ডিএসইর ২০১৫ সালের লিস্টিং রেজুলেশনের ৫২(১)(সি) ধারা অনুযায়ী কোম্পানি দুটিকে তালিকাচ্যুত করা হয়েছে।
ডিএসইর এই সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী আহাদ আলী সরকার বলেন, দীর্ষদিন ধরে উৎপাদনহীন থাকা এসব কোম্পানিকে ঘিরে কারসাজি চক্র সক্রিয় থাকে। ফলে প্রকৃত বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
তিনি বলেন, এই তালিকায় আরো কিছু কোম্পানি রয়েছে। আশা করছি ডিএসই বাকি কোম্পানির বিরুদ্ধেও অ্যাকশনে যাবে।
১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় রহিমা ফুড লিমিটেড। কিন্তু ২০১৩ সালের জুন মাস থেকে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ২০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির নিকট ভবিষ্যতে উৎপাদন শুরু হওয়ার মতো কোনো সম্ভাবনা নেই। তারপরও শেয়ার দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। সর্বশেষ কোম্পানিটির শেয়ারটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭৪ দশমিক ৭০ টাকায়।
অন্যদিকে ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি থেকে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে মডার্ন ডাইং অ্যান্ড স্ত্রিন প্রিন্টিং লিমিটেডের। এরপর ওই বছরই বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে ফ্যাক্টরির জায়গা দীর্ঘমেয়াদে গোডাউনের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তারপরেও শেয়ারটির দাম বাড়ে অস্বাভাবিকভাবে।
১৯৮৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১ কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে কোম্পানি দুটিকে (ডিলিস্টিং) তালিকাচ্যুত করার পরদিন বৃহস্পতিবার একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ।
একই সঙ্গে কেন তালিকাচ্যুত করা হবে না তার ব্যাখ্যা চেয়ে কোম্পানি দুটির কাছে চিঠি দিয়েছে সিএসই।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ