পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৬৭তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আর্থিক হিসাবে বাংলাদেশ হিসাব মান (বিএএস) ও সিকিউরিটিজ আইন-কানুন ভঙ্গ করায় সেন্ট্রাল ফার্মার এমডি মনসুর আহমেদ, পরিচালক মোর্শেদা আহমেদ, রুকুনুজ্জামান, পারভেজ আহমেদ ভূঁইয়া ও নাসিমা আক্তারকে চার লাখ করে মোট ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কোম্পানিটির ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত আর্থিক বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব বিবরণীতে বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট যোহা জামান কবীর রশীদ অ্যান্ড কোম্পানি কোয়ালিফাইড ওপিনিয়ন দেয়।
কিন্তু কোম্পানি তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে আনকোয়ালিফাইড অডিট ওপিনিয়ন সংযুক্ত করে বার্ষিক প্রতিবেদন কমিশন। যা স্টক এক্সচেঞ্জ ও বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হয়।
নিরীক্ষকের কোয়ালিফাইড ওপিনিয়নে ছিল স্বল্প মেয়াদী ঋণের সুদ ও কুঋণের জন্য সিঞ্চিতির (প্রভিশন) ব্যবস্থা না করা, দীর্ঘ মেয়াদী ঋণের চলতি অংশ ও দীর্ঘ মেয়াদী অংশ আলাদা না করা, অগ্রিম কর ও কর দায় সমন্বয় না করা এবং কোম্পানির খরচগুলো ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে নির্বাহ না করে নগদে নির্বাহ করা।
ডিএসই ওই হিসাব বিবরণী পরীক্ষা করে কোম্পানির বর্ণিত কার্যাবলীর জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর সেকশন ১২ (২), বিএএস-১ এর অনুচ্ছেদ ৪০এ, ৪০বি, ৬০ ও ৬৪, বিএএস২১ এর অনুচ্ছেদ ২৮ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮ আইনগুলো ভঙ্গ হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে।
এছাড়াও আইন লঙ্ঘনগুলো সংশোধন না করা পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালকরা কোম্পানি থেকে কোনো প্রকার লভ্যাংশ, পারিতোষিক এবং অন্যান্য সুবিধাদি গ্রহণ করতে পারবেন না মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৮
এমএফআই/টিএ