এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৪৬ কোটি ৩২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। যা প্রায় ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।
সোমবারও ডিএসইতে সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন দিনের লেনদেন শুরু হয়ে চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। তবে শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচক পতন যা অব্যাহত দিনের বাকি সময় পর্যন্ত। দিন শেষে ডিএসইতে সূচকের পাশাপাশি উভয় বাজারে কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। ফলে এদিন ডিএসইতে সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট আর সিএসইতে কমেছে ৬৪ পয়েন্ট। এর ফলে রোববার (১৩ জানুয়ারি) সূচকের উত্থানের পর সোমবার দরপতন হলো। এর আগের টানা দু’দিন দরপতনে হয়েছিলো।
ডিএসই’র তথ্য মতে, সোমবার বাজারে ২৬ কোটি ২২ লাখ ৭৭ হাজার ৮৩৮টি শেয়ারের হাত বদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৪৬কোটি ৩২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৯৭৩ কোটি ৯৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৩৬ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এছাড়া অন্য দু’সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স ইনডেক্স ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ ইনডেক্স ৪ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ২৫ পয়েন্টে। একইদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১২২টির, কমেছে ২০২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির।
অন্যদিকে সিএসইতে সার্বিক সূচক ৬৪পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৮৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯৪টির, কমেছে ১৫৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ২২লাখ ১ হাজার ৩৪১ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৬৫ কোটি ২৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৭৯টাকার। তার এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩৩ কোটি ২ লাখ ২৭ হাজার ৭০৪ টাকা। তারও আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬২ কোটি ৯৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
এমএফআই/এএটি