এদিন দুপুরে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আর মুদ্রানীতিকে কেন্দ্র করে ব্যাংক, বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বেশিরভাগ খাতের শেয়ারের দাম কমায় বুধবার সূচক ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে।
একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।
সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় দিনের লেনদেন শুরু হয়ে চলে ১০টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচক যা অব্যাহত ছিলো দিনের বাকি লেনদেন পর্যন্ত। ফলে দিন শেষে ডিএসইতে সূচক কমেছে ৪০ পয়েন্ট। আর সিএসইতে কমেছে ৯৬ পয়েন্ট।
এর ফলে মঙ্গলবার সূচক বাড়ার পর বুধবার আবারো দরপতন হলো। এর আগের সপ্তাহের প্রথম ও দ্বিতীয় কার্যদিবস রোববার (২৭ জানুয়ারি)ও সোমবার টানা দু’দিন দরপতন হয়েছিলো।
ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার বাজারে ২৭ কোটি ৩৫ লাখ ২৪ হাজার ২৯৪টি শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ১হাজার ২৪কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৯৪৫ কোটি ৮৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ৯ কোটি ৫৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকার।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪০ দশমিক ৪২পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৮৪ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স ইনডেক্স ৭ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ ইনডেক্স১৪ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩১ পয়েন্টে।
একইদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ১০২টির, কমেছে ২৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।
এদিকে সিএসইতে সার্বিক সূচক ৯৬ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৮২টির, কমেছে ১৬৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৭ কোটি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৪০ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩৮ কোটি ৮৬ লাখ ৫ হাজার ২৮৩ টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৫৩ কোটি ৬৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮৮ টাকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এমএফআই/এএটি