এদিন ডিএসইতে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম ও লেনদেন। এর ফলে বাজার থেকে বিনিযোগকারীদের মূলধন কমেছে।
সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় দিনের বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। বুধবারের মতোই এদিনও মুদ্রানীতিকে কেন্দ্র করে ব্যাংক, বিমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বেশিরভাগ খাতের শেয়ারের দাম কমতে থাকে। ফলে দিনের শেষ লেনদেন হয় সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায়। ফলে দিন শেষে ডিএসইতে সূচক কমেছে ৬৩ পয়েন্ট। আর সিএসইতে কমেছে ১৯৬ পয়েন্ট।
সবমিলে মঙ্গলবার সূচক বাড়ার পর বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা দু’দিন দরপতন হলো। এর আগের সপ্তাহের প্রথম এবং দ্বিতীয় কার্যদিবস রোববার (২৭ জানুয়ারি) ও সোমবার টানা দু’দিন দরপতন হয়েছিলো।
ডিএসইর তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার বাজারে ২৬ কোটি ৩ লাখ ৪৭ হাজার ১৫৪টি শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৯৯২ কোটি ৭৩ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ১ হাজার ২৪ কোটি ৬১ লাখ ৪৮ হাজার টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৯৪৫ কোটি ৮৫ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৩ দশমিক ১০ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮২১ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স ইনডেক্স ১৩ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১০ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ ইনডেক্স ২৩ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ০৭ পয়েন্টে।
একইদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৮৪টির, কমেছে ২৩৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির।
এদিকে সিএসইতে সার্বিক সূচক ১৯৬ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৮৯০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৮টির, কমেছে ১৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৩ কোটি ৭৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪২৯ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩৭ কোটি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার ১৪০ টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩৮ কোটি ৮৬ লাখ ৫ হাজার ২৮৩ টাকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
এমএফআই/এসএইচ