এর ফলে সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সূচক সামান্য বৃদ্ধির পর মঙ্গল ও বুধবার আবারো দরপতন হলো। এর আগেও টানা তিন কার্যদিবস দরপতন হয়েছিলো।
বুধবার সূচক ওঠানামার মধ্য দিয়ে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শুরু হয়। যা চলে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এরপর শেয়ার বিক্রির চাপে শুরু হয় সূচক পতন, যা অব্যাহত ছিলো দিনের বাকি লেনদেন পর্যন্ত।
ফলে দিন শেষে ডিএসইতে সূচকের পাশাপাশি বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও কমেছে। একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)।
তবে এদিন বিমা খাতের শেয়ারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিএসইতে সূচক কমেছে ১৪ পয়েন্ট আর সিএসইতে কমেছে ১৮ পয়েন্ট। অন্যথায় বড় দরপতন হওয়ার শঙ্কা ছিলো বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসইর তথ্য মতে, বুধবার বাজারে ১৬ কোটি ৭৯ লাখ ৭১ হাজার ১৪১টি শেয়ারের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৭৬৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৭০৬ কোটি ৬৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৮৮৯ কোটি ৫ লাখ ১৭ হাজার টাকার।
এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৮৬ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স ইনডেক্স ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১২ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ ইনডেক্স ১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৪টির, কমেছে ১৮৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৭টির।
সিএসইতে সার্বিক সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৭১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৭টির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ১ লাখ ১ হাজার ৮২৭ টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ২৫ কোটি ১২ লাখ ১৪ হাজার ৮০ টাকার। তার আগের দিন লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৯৬ লাখ ৪১ হাজার ৪৭৩ টাকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এমএফআই/জেডএস