বিদায়ী মাসে (জানুয়ারি) মোট লেনদেনের ৫২ শতাংশ এসেছে এ চার খাত থেকে। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন সরকার গঠনের পর ২০১৯ সাল বাজার ভালো থাকবে এমন খবর বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ ব্যাংক পুঁজিবাজার মুদ্রানীতি গ্রহণ করবে, পাশাপাশি নতুন অর্থমন্ত্রী দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পুঁজিবাজারকে আরো আকর্ষণীয় করবে। এসব খবরে জানুয়ারি মাসে ব্যাংক, বিমা এবং বস্ত্র খাতের সব শেয়ারের দাম বেড়েছে। ফলে লেনদেনও আগের মাসের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে।
ডিএসইর তথ্য মতে, বিদায়ী মাসে ডিএসইতে ৬৩০ কোটি ৪২ লাখ ৫৮ হাজার ৯৮৮টি শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে ২২ হাজার ৩৪৭ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৩ টাকা। ফলে সরকারও এ খাত থেকে সাড়ে ৩২ কোটি টাকার রাজস্ব পেয়েছে।
২২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে জানুয়ারি মাসে পুঁজিবাজারের ‘প্রাণ’ বলে খ্যাত ব্যাংক খাতের ১৪৬ কোটি ৬০ লাখ ১১ হাজার ৭৩৭টি শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ ২ হাজার ৯৫২ কোটি ৮৩ লাখ ৪৪ হাজার ৪১০ টাকা লেনদেন হয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে ১৩ দশমিক ২১ শতাংশ।
দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে বস্ত্র খাত। এখাতের ১১৬ কোটি ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩টি শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৬২ কোটি ৩৮ লাখ ৬ হাজার ৮৩৩ টাকা। যা শতাংশের হিসাবে ১৩ দশমিক ১৭ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে ছিলো প্রকৌশল খাত। এ খাতের ৪ হাজার ৯৯০ লাখ ১২ হাজার ২৪৫টি শেয়ার কেনা-বেচা বাবদ মোট ২ হাজার ৮২১ কোটি ১৪ লাখ ৯২ হাজার ৯৫০ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা শতাংশের হিসাবে ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ লেনদেন হওয়া চতুর্থ স্থান দখল করেছে বিমা খাত।
একইভাবে লেনদেন আরো ২০টি সেক্টরের মধ্যে ১০ দশমিক ১৭ শতাংশ লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানির। ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশের কম লেনদেন হয়েছে বিদুৎ ও জ্বালানি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের।
এছাড়াও ৫ শতাংশে কম লেনদেন হয়েছে- খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, বিবিধ, আইটি টেলিযোগাযোগ, ট্যানারি, সিরামিক, সিমেন্ট, ট্রাভেলস, পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং,মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সার্ভিস অ্যান্ড রিয়েলে স্টেট, পাট ও বন্ড খাতের কোম্পানির শেয়ারের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এমএফআই/এসএইচ