তিনি বলেন, বিভিন্ন উন্নত দেশে এটি ১০০ শতাংশের বেশি। তবে বাংলাদেশের জিডিপিতে শেয়ার বাজারের অবদান বৃদ্ধি করার অনেক সুযোগ রয়েছে৷
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত 'বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের উন্নয়ন: সাম্প্রতিক অবস্থাও ভবিষ্যত পরিকল্পনা' শীর্ষক সেমিনারে মূলবক্তার বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থানকে প্রতিষ্ঠিত করতে শেয়ার বাজারের বর্তমান অবস্থা বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক ও আশাব্যঞ্জক। গত পাঁচ বছরে শেয়ার বাজার অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ডিএসই সঙ্গে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে যুক্ত হয়েছে চীনের শীর্ষস্থানীয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জ শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ। চীনের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় ডিএসইর অগ্রগতির জন্য বড় ধরনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন পরবর্তী ডিএসইর পণ্যের বৈচিত্র্যতা আনতে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। খুব শিগগিরই শেয়ার বাজারে স্বল্প মূলধনের প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্থায়ন ও তালিকাভুক্তির জন্য স্মল ক্যাপিটাল প্লাটফর্ম চালু করা হবে। ভবিষ্যতে অ-তালিকাভুক্ত (তালিকাভুক্ত নয় এমন) সিকিউরিটিজ, যেমন ওপেন অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ডেট সিকিউরিটিজ, ওয়ারেন্টস, ডেরিভেটিবস লেনদেনের জন্য অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) চালু করা হবে।
ক্লিয়ারিং ও স্যাটেলমেন্ট কোম্পানি গঠন করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইন/বিধির প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাজেদুর রহমান। এতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে শেয়ারবাজারে নতুন পণ্য লেনদেনের পথসুগম হবে। যা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। এ বহুমুখী বাজার পরিস্থিতিতে নতুনদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে উন্নত ও গৌরবান্বিত করতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এসএমএকে/এসএইচ