বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা ভবনে অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।
তিনি বলেন, ব্যাংকের আমানত সংগ্রহের একটি ব্যাপার থাকে তাই বিনিয়োগ সম্ভাবনা বাস্তবায়নের জন্য শক্তিশালী শেয়ারবাজার প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যাংক নির্ভর হওয়া যাবে না।
ড. মসিউর রহমান আরো বলেন, আমাদের অর্থনীতির গতি ও সমৃদ্ধি ধরে রাখতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ও সঠিকস্থানে বিনিয়োগ করতে হবে। শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের এককভাবে বিনিয়োগের পরিমাণ কম। তবে সবার একত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক। এই বাজারের সুবিধা হলো বিনিয়োগকারীর দায় শেয়ার দ্বারা সীমাবদ্ধ। আরেকটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে সহজেই বিনিয়োগ এক কোম্পানি থেকে অন্য কোম্পানিতে স্থানান্তর করা যায়।
তিনি বলেন, প্রাইভেট সেক্টরে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে না। এই সেক্টরে বিনিয়োগের পরিমাণ এখন ফ্ল্যাট। এটি বাড়ানো দরকার। যা শেয়ারবাজারের মাধ্যমে খুব সহজেই করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানে বিএসইস’র চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন বলেন, ২০১০/১১ সালের পরে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে নানাধরনের সংস্কার করা হয়েছে। যাতে বিগত ৮ বছরে শেয়ারবাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়নি। স্বাভাবিক উত্থান-পতন হয়েছে। বাজার আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি স্থিতিশীল।
তিনি আরো বলেন, শেয়ারবাজার এখন সমৃদ্ধ ভিত্তির উপরে দাঁড়িয়েছে। যেখানে বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাসযোগ্যতা বেড়েছে। এ বাজারে বিনিয়োগকারীরা লাভ-লোকসান করবে, তবে প্রতারিত হবে না। যা প্রতিরোধে কমিশন বিভিন্ন আইন-কানুন করেছে।
শেয়ারবাজারের গভীরতা বাড়ানোর লক্ষ্যে কমিশন কাজ করছে বলে জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান। এ লক্ষ্যে বন্ড মার্কেট কেসেকেন্ডারিতে আনার কাজ শুরু করা হয়েছে।
অর্থসূচক সম্পাদক জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিবিএ সভাপতি শাকিল রিজভী, বিএমবিএ সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী ও ভিসিপিইএবি’র সভাপতি শামীম আহসান।
এক্সপোতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেটম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান, তালিকাভুক্ত কোম্পানিসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের স্টল থাকবে।
তিনদিনের এ এক্সপোতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের কলাকৌশল, পুঁজিবাজারে ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা, বিদ্যুৎ খাতের সম্ভাবনাও চ্যালেঞ্জ, ফিন্যান্সিয়াল রিপোটিং কাউন্সিল ও পুঁজিবাজার, শিল্পায়নে পুঁজিবাজারের অবদান ইত্যাদি বিষয়ে কয়েকটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো শেষ হবে ৬ এপ্রিল। প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য খোলা থাকবে। এক্সপোতে প্রবেশের জন্য কোনো টিকিট লাগবে না। উল্টো প্রবেশ কূপণের র্যাফেল ড্র-তে থাকবে মূল্যবান সবপুরস্কার।
এক্সপোর প্রথম পুরস্কার রানার অটোমোবাইলসের সৌজন্যে একটি ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল। ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো ২০১৯ এর লিড স্পন্সর থাকছে- জিপিএইচ ইস্পাত ও ক্রাউন সিমেন্ট। স্পন্সর হিসেবে আছে বিবিএস ক্যাবলস। এছাড়া দু’টি সেমিনার স্পন্সর করছে যথাক্রমে প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও ইউসিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০১৫
এসএমএকে/এমজেএফ