ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে বাজারে সূচকের বড় উত্থান বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী সম্মিলিত ঐক্য পরিষদের সভাপতি আতাউল্লা নাইম বলেন, বিএসইসির নানামুখী পদক্ষেপে বাজারে ইতিবাচক ধারা দেখা যাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন মহলের উদ্যোগ দেখে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা আশ্বস্ত হচ্ছেন, তাই বাজার ইতিবাচক বলে তিনি মনে করেন।
রোববার ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১০৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য সূচকের মধ্যে শরীয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে এক হাজার ২৪০ ও এক হাজার ৯০১ পয়েন্টে রয়েছে।
এদিন লেনদেনের শুরু থেকে সূচকের উত্থান দেখা গেছে। লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে সূচক ৩৩ পয়েন্ট বাড়ে। এরপর সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সূচক আরো ২৪ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। বেলা ১১টার দিকে এই ধারা অব্যাহত থাকে। দেড় ঘণ্টা পর অর্থ্যাৎ দুপুর ১২টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৫৪ পয়েন্টে অবস্থান করে। দুপুর ১টায় সূচকের উত্থান অব্যাহত থাকে এবং সূচকের বড় উত্থানে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৫৩৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকার। যা আগের দিনের চেয়ে ৬০ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন (০২ মে) ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৪৭৫ কোটি ২৯ লাখ টাকার।
এদিকে ডিএসইতে ৩৪৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নেয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারের দর বেড়েছে ২৯২টির, কমেছে ৩৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর।
ডিএসইতে টাকার পরিমাণে সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া ১০টি কোম্পানি হলো- বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, ন্যাশনাল টিউবস, ফরচুন সুজ, মুন্নু সিরামিক, ইউনাইটেড পাওয়ার, বিএসসিসিএল, ন্যাশনাল পলিমার, জেনেক্স, একটিভ ফাইন ও ইস্কয়ার নিট।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৩৪২ পয়েন্ট বেড়ে ১৬ হাজার ৫০৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ারের দর বেড়েছে ২১৭টির, কমেছে ৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১০টির দর। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
এমএসএকে/জেডএস