বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬১১ কোটি এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন বেড়েছে ৪৬ কোটি টাকা।
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট বা ০.২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৭৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বা ০.৩৮ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৯ পয়েন্ট বা ১.০৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২২০ ও ১৮৫১ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে ২ হাজার ১৪৪ কোটি ৮১ লাখ ৬৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৬১১ কোটি ৪৭ লাখ ৩৯ হাজার ৭৮৫ টাকা বা ৩৯.৮৭ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৩৩ কোটি ৩৪ লাখ ২৯ হাজার ২১৫ টাকার।
গত সপ্তাহে ডিএসই’র গড় লেনদেনও বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে গড় লেনদেন হয়েছে ৪২৮ কোটি ৯৬ লাখ ৩৩ হাজার ৮০০ টাকার। তার আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৩৮৩ কোটি ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩০৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৪৫ কোটি ৬২ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা বেড়েছে।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৫১টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৫২টির, কমেছে ১৭৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
গত সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- ফরচুন সুজ, মুন্নু সিরামিক, ইস্কয়ার নিট, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, পাওয়ার গ্রিড, ইন্দো-বাংলা, ন্যাশনাল টিউবস, ন্যাশনাল পলিমার, জিনেক্স ইনফিউশন ও লিগ্যাসি ফুটওয়্যার।
এদিকে গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৬ পয়েন্ট বা ০.১৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৮৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ১৭ পয়েন্ট বা ০.১৭ শতাংশ ও সিএসই-৫০ সূচক ০.৮১ পয়েন্ট বা ০.০৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৮০০ পয়েন্ট ও ১ হাজার ১৭৫.৮৫ পয়েন্টে।
সিএসইতে সপ্তাহজুড়ে ১১১ কোটি ৪১ লাখ ০৬ হাজার ৪৭৮ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৫ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার ২১০ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৪৬ কোটি ৫ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৮ টাকা বা ৭০ শতাশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস