ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৫ হাজার ২৭ পয়েন্টে।
এদিকে আস্থা সংকটের কারণে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, তারল্য সংকট নয় আস্থা সংকট বাজারে চরমভাবে বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, তারল্য নয় পুঁজিবাজারে আস্থা সংকট বিরাজ করছে।
তিনি বলেন, লেনদেন প্রতিনিয়ত ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার ঘরে হচ্ছে। যদি তারল্য সংকট থাকতো তাহলে এ লেনদেন ৫০ থেকে ১০০ কোটি টাকার ঘরে চলে আসতো। তাই সরকারের উচিত হবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। তাহলে বাজার ভালো হবে বলে তিনি মনে করেন।
অপরদিকে রোববার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৯৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৩ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৯ পয়েন্ট ও ডিএসই-৩০ সূচক ৩০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১৫৭ ও ১৭৯৯ পয়েন্টে।
ডিএসইতে এদিন ৩৬৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩০৬ কোটি টাকার। অর্থাৎ এদিন ডিএসইতে লেনদেন ৬২ কোটি টাকা বেড়েছে।
ডিএসইতে ৩৫২টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭৩টির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে, বেড়েছে ৬১টির এবং ১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানি হলো- ফরচুন সুজ, ইউনাইটেড পাওয়ার, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, জেএমআই সিরিঞ্জ, বেক্সিমকো, সি পার্ল, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স এবং প্রাইম ইন্স্যুরেন্স।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ৩০৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪১৫ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৮৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪২টির, কমেছে ২৩১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির দর।
এ বাজারে ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যা আগের দিনের চেয়ে এক কোটি টাকা বেশি। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ১৬ কোটি টাকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস