বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চলমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে অর্থমন্ত্রী স্টেকহোল্ডারসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করলেও পতন থামছে না।
এ ব্যাপারে সাধারণ বিনিয়োগকারী ফিরোজ আলম বাংলানিউজকে বলেন, তারল্য ও আস্থা সংকটের কারণে বাজারে স্থিতিশীলতা আসছে না। বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে এখনই জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ৮৫৫ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে ও ডিএসই-৩০ সূচক ০ দশমিক ০৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১২৩ ও ১৭৩৫ পয়েন্টে।
ডিএসইতে এ দিন ৩৮৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। যা আগের দিনের চেয়ে ১৩ কোটি টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৭১ কোটি টাকার।
ডিএসইতে বৃহস্পতিবার ৩৫৩টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৬টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে, কমেছে ২৬৯টির এবং ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- ন্যাশনাল টিউবস, ফরচুন সুজ, স্কয়ার ফার্মা, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, বিকন ফার্মা, জেএমআই সিরিঞ্জ, ইউনাইটেড পাওয়ার, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, মুন্নু সিরামিক ও ন্যাশনাল পলিমার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এ দিন ৮৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৭৬০ পয়েন্টে। এ দিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৬০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪৪টির, কমেছে ১৯০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির।
বৃহস্পতিবার ১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে বাজারটিতে। যা আগের দিনের চেয়ে ১৮ কোটি টাকা কম। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩৫ কোটি টাকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯
এসএমএকে/টিএ