ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, গত সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস সূচকের পতন হলেও পরের তিনদিন বড় উত্থান হয় পুঁজিবাজারে।
এর মধ্যে গত ১০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি টাকা করে দেওয়ার এক সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই সার্কুলারের পর ১১ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়ায়। যার ফলে সপ্তাহের শেষে দেখা গেছে, উভয় বাজারে সব সূচক বেড়েছে, বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে বাজার মূলধন সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৫৯৬ কোটি ৫০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৩৭৪ কোটি ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ৭৮২ টাকা বা ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২২২ কোটি ৬ লাখ ৩১ হাজার ১৭৭ টাকার।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৫১৯ কোটি ৩০ লাখ ৯ হাজার ৯৯১ টাকার। তার আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৪৪৪ কোটি ৪১ লাখ ২৬ হাজার ২৩৫ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৭৪ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৬ টাকা বেশি হয়েছে।
সপ্তাহজুড়ে এ ক্যাটাগরি শেয়ারের লেনদেন বেড়েছে। বিনিয়োগকারীদের ভালো শেয়ারের প্রতি ঝুঁকতে দেখা গেছে বিদায়ী সপ্তাহে। এই সময় এ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ২০৯ কোটি ৫৩ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকার বা ৮৫ দশমিক ০৮ শতাংশ, বি ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ২৭২ কোটি ৬৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার বা ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ, এন ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকার বা ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং জেড ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ২১ লাখ ৮৩ হাজার টাকার বা শূন্য দশমিক ৬২ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন ৬ হাজার ৬১৯ কোটি ৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বা ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেড়েছে। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৪০ হাজার ৪৭০ কোটি ৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়ে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬ কোটি ১৫ লাখ ২৬ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১২ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৬৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৮ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা ১.৭৯ শতাংশ ও ডিএসই-৩০ সূচক ২২ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বা ১.৫০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪৫ ও ১৫৩৬ পয়েন্টে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৫৮টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৮টির বা ৩৩ শতাংশের, কমেছে ২১৮টির বা ৬১ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির বা ৬ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- লাফার্জ হোলসিম, খুলনা পাওয়ার, ইন্দো-বাংলা, এডিএন টেলিকম, ওরিয়ন ইনফিউশন, শিপইয়ার্ড ইন্ডাস্ট্রি, এসকে ট্রিমস, এস এস স্টিল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ও গোল্ডেন হারভেস্ট।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহজুড়ে ১৫৪ কোটি ৭২ হাজার ৫৫ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯৬ কোটি ৯৯ লাখ ৭৭ হাজার ২৭৮ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৫৭ কোটি ৯৪ হাজার ৭৭৭ টাকা বা ৫৮.৭৭ শতাংশ বেড়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৬১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ২২০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২৯৭ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৮ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং সিএসআই ১৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৮ হাজার ৪৩২ পয়েন্ট, ১১ হাজার ৯৫৮ পয়েন্ট, ১০০৭ পয়েন্ট এবং ৯০৩ পয়েন্টে।
আলোচিত সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৩২টির বা ৭৫ শতাংশ, দর কমেছে ৬৩টির বা ২১ শতাংশ এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩টির বা ৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০
এসএমএকে/জেডএস