ঢাকা: বংলাদেশে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে পুঁজিবাজার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহম্মেদ।
মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টায় আগারগাঁওয়ের বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে অনলাইনে বিও অ্যাকাউন্ট ওপেন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ সামসুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমরা পুঁজিবাজারকে ডিজিটালাইজেশন করছি। এ সেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছি। পুঁজিবাজারে প্রসার করতে হলে সবার কাছে সেবা পৌঁছে দিতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা আজ অনলাইনে বিও অ্যাকাউন্ট ওপেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলাম।
তিনি বলেন, এখন থেকে দেশ-বিদেশে অবস্থান করে অনলাইনের মাধ্যমে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে। এনআরবিদের জন্য ডিজিটাল বুথও ওপেন করেছি। তবে না বুঝে শুনে কারো বিনিয়োগ করা ঠিক হবে না।
বিএসইসির কমিশনার বলেন, দেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে। এ মুহূর্তে পুঁজিবাজারই বংলাদেশে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভ্র কান্তি চৌধুরী বলেন, এ দিনটিকে মাইলফলক হিসেবে দেখবো। পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক উন্নয়ন হিসেবে এটি করা হচ্ছে। এ প্ল্যাটফর্ম ঘরে বসেই বিনিয়োগকারী ট্রেড করতে পারবে। এতে স্বচ্ছতা বাড়বে এবং যেকোনো জায়গা থেকে এ প্ল্যাটফর্মে ঢুকে একজন বিনিয়োগকারী নিজেই বিও করতে পারবেন।
তিনি বলেন, বিনিয়োগকারী যে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করবেন তার একটি চেকের পাতা লাগবে। অনলাইনে সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ৪৫০ টাকা জমা দিলেই বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্ট ওপেন হয়ে যাবে। এতে বাজারে বিনিয়োগকারী বাড়বে।
অনুষ্ঠানে বিএসইসির কমিশনার আব্দুল হালিম ও মিজানুর রহমান, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
যেভাবে অনলাইনে খোলা যাবে বিও অ্যাকাউন্ট
একজন বিনিয়োগকারীকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল দিয়ে বিও হিসাব খোলার প্রথম ধাপে লগ-ইন করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে ওই বিনিয়োগকারীর মোবাইল ও ই-মেইলে একটি গোপন পাসওয়ার্ড চলে যাবে। সেটি একবারই ব্যবহার করা যাবে এ কারণে সেটি ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত। ওই পাসওয়ার্ড দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে বিনিয়োগকারীকে। কয়েকটি ধাপে বিনিয়োগকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র, ব্যাংক হিসাব নম্বর, ব্যাংক চেকের কপি, বিনিয়োগকারীর ছবি, স্বাক্ষরের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে।
এমনকি বিনিয়োগকারীকে বেছে নিতে পারবেন তার পছন্দের ব্রোকারেজ হাউস। এরপর ওই আবেদন চলে যাবে বিনিয়োগকারীর পছন্দের ব্রোকারেজ হাউসে। ব্রোকারেজ হাউসের পক্ষ থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর সব ঠিকঠাক থাকলে সেই আবেদন গ্রহণ করা হবে। তখন স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে একটি নোটিফিকেশন চলে যাবে বিনিয়োগকারীর মোবাইল ও ই-মেইলে। সেই নোটিফিকেশন পাওয়ার পর বিনিয়োগকারীকে বিও ফি ৪৫০ টাকা জমা দিতে হবে। বিও ফি জমা হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্রোকারেজ হাউস সিডিবিএলের সিস্টেমে তা আপলোড করে দেবে। আর বিনিয়োগকারী মোবাইল ও ই-মেইলে পেয়ে যাবেন ‘সাকসেসফুল’ বার্তা। এভাবেই সহজে অনলাইনে খোলা যাবে বিও অ্যাকাউন্ট বলে অনুষ্ঠানে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
এসএমএকে/আরবি