ঢাকা: আরো এক বছর পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ ও তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর হার কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রাক বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব তুলে ধরেন অ্যাসিয়েশনের সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান।
ছায়েদুর রহমান বলেন, ২০১১ সাল থেকে পুঁজিবাজার বিভিন্ন প্রকার প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অন্যান্য আর্থিক সূচক ভালো থাকার পরেও পুঁজিবাজারে তার ছোঁয়া লাগছে না। আমরা মনে করি, পুঁজিবাজারকে পেছনে রেখে উন্নতির অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। তাই পুঁজিবাজারের গতিশীলতা আনয়নে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন প্রকার উদ্যোগ নিয়েছে এবং তার ফলাফল লক্ষণীয়। যেহেতু সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইনি কাঠামো সংধোধন/সংযোজন/পরিবর্তন/পরিবর্ধন করতে পারে এবং তারা সঠিকভাবেই তা করে যাচ্ছে। কমিশন যথাযথ পদক্ষেপের ফলে পুঁজিবাজার নতুন গতি পেয়েছে। তবে অর্থের সরবরাহ যথাযথ পরিমাণে না থাকায় পুরোপুরি গতিশীলতা আসছে না। আসন্ন বাজেটের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি করে পরিপূর্ণ গতিশীলতা আনা যেতে পারে। কিন্তু পুঁজিবাজার উন্নয়নে ফিসকেল রাজস্ব পলিসি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পুঁজিবাজারে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে আসন্ন বাজেটে নিম্ন লিখিত সুপারিশসমূহ সদয় বিবেচনার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রস্তাবগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, বর্তমানে কালো টাকা বিনিয়োগে ১০ শতাংশ হারে কর দিতে হচ্ছে। রাজস্ব বোর্ডের এ সিদ্ধান্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ কিছুটা হলেও বেড়েছে। নির্ধারিত এ কর হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার প্রস্তাব ও এর মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
ছায়েদুর রহমান বলেন, বর্তমানে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর বৃহৎ কর হার ৩৭.৫০ শতাংশ। যা হতাশাজনক। বাংলাদেশে বর্তমানে ৬৩টি মার্চেন্ট ব্যাংক কর্মরত আছে। পুঁজিবাজারের ধীরগতি, করোনায় ব্যবসার সীমাবদ্ধতা থাকায় বেশির ভাগ মার্চেন্ট ব্যাংক অপারেটিং চালানোই সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় করপোরেট কর হার ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বাজেটে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব অনেক। এনবিআর তাদের প্রস্তাবনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে আগামী বাজেটে প্রস্তাবগুলো গুরুত্বসহ পর্যালোচনা করবে। আমরা রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা আনতে চাইছি, এজন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা প্রয়োজন। আশা করছি পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বাড়বে।
আলোচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, বিমা ও মার্চেন্ট ব্যাংক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রতিনিধিরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ও সংগঠনের পক্ষে বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২১
এসএমএকে/আরবি