ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

ঈদ পরবর্তী পু্ঁজিবাজারে ডিএসইএক্স সূচকের রেকর্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২১
ঈদ পরবর্তী পু্ঁজিবাজারে ডিএসইএক্স সূচকের রেকর্ড

ঢাকা: ঈদ পরবর্তী ও করোনা মহামারির মধ্যে সরকার ঘোষিত ‘লকডাউন’ ও বিধিনিষেধের মধ্যেও ইতিবাচক রয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। ঈদ পরবর্তী সপ্তাহেও (২৫ থেকে ২৯ জুলাই) পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তিন দিন ঊর্ধ্বমুখী থাকে বাজার।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৯ বছরের মধ্যে রেকর্ড অবস্থানে উঠে এসেছে। বিদায়ী সপ্তাহটিতে পুঁজিবাজারে ৭ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে ডিএসইতে ৭ হাজার ১২৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ২৫৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।  

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ৭ হাজার ১২৮ কোটি ৬৭ লাখ ৫ হাজার ৬৬৫ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে দুই কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩ হাজার ৫৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন বেড়েছে ৪ হাজার ৭১ কোটি ১৬ লাখ টাকা বা ১৩৩ দশমিক ১৫ শতাংশ।  

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২০ দশমিক ২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪২৫ দশমিক ২৬ পয়েন্টে।  

বিগত কয়েক সপ্তাহের টানা উত্থানের কারণে ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থাতে পৌঁছে গেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি নতুন সূচক ডিএসইএক্স চালু করে ডিএসই। ৪ হাজার ৫৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট দিয়ে শুরু হওয়া সূচকটি এখন ছয় হাজার ৪২৫ দশমিক ২৬ পয়েন্ট অবস্থান করছে।

অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৩ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৯৬ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বা দশমিক ২৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়ে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৫৯ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট এবং ২ হাজার ৩৩৭ দশমিক ৮৮ পয়েন্টে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৫ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ গেল সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৭৮১ কোটি টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮১টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৯টির, কমেছে ১৬৭টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির শেয়ার ও ইউনিট দর এবং ৪টি কোম্পানির শেয়ারের কোনো লেনদেন হয়নি।

গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৪২৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয় এক হাজার ৫২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১০৩ কোটি ২ লাখ টাকা বা ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। গত সপ্তাহের লেনদেনের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৮.৮১ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষেও ১৯.২০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ২.০৭ পয়েন্ট বেড়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া ১০ কোম্পানি হলো- সাইফ পাওয়ার, বেক্সিমকো লিমিটেড, জিএইচপি ইস্পাত, বিএটিবিসি, বারাকা পতেঙ্গা, ফুওয়াং সিরামিক, একটিভ ফাইন, বিডি ফাইন্যান্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স ও আইএফআইসি ব্যাংক।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৫৯ কোটি ৭৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকার। এর আগের সপ্তাহে দুই কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১১৫ কোটি ৯৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকার।  

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ০.৩৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৩৫.৩৯ পয়েন্টে।  

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৬টির দর বেড়েছে, ১৬৬টির কমেছে এবং ২৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২১
এসএমএকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।