ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খেলা

বাংলাদেশ যুব গেমসের চতুর্থ দিনে বিজয়ী যারা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
বাংলাদেশ যুব গেমসের চতুর্থ দিনে বিজয়ী যারা

সারা দেশে চলছে শেখ কামাল দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমস। বৃহস্পতিবার ছিল আসরের চতুর্থ দিন।

এই দিনে সারাদেশের বরগুনায়, চাঁদপুর, নোয়াখালী, মাগুরা, লালমনিরহাট, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম, কুড়িগ্রামের খেলা শেষ হয়েছে। এই পর্বের খেলা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

চতুর্থ দিনে বরগুনায় দাবা ইভেন্টে ৬ উপজেলা থেকে দুটি গ্রুপে ৬ জন করে তরুণ-তরুণী দাবাড়ু অংশ নিচ্ছেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন জানান, আগামীকাল ব্যাডমিন্টন, ৭ জানুয়ারি কারাতে ও সুইমিং, ৮ জানুয়ারি অ্যাথলেটিক্স এবং ৯ জানুয়ারি কাবাডি ইভেন্টের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

চাঁদপুরে কাবাডির ফাইনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলা ৩০-২৯ পয়েন্টে হাইমচর উপজেলা হারিয়ে জয়ী হয়। ফুটবলে হাজীগঞ্জ উপজেলা ৩-০ গেলে মতলব উত্তর উপজেলাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। গতকাল অনূর্ধ্ব-১৭ দাবায় তরুণী বিভাগে চাম্পিয়ন হয়েছেন রাফিয়া ইসলাম, রানার্র আপ মেহেজাবিন পাটোয়ারী। দাবা তরুণ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন সাফায়াত কিবরিয়া আযান, রানার্র আপ প্রশান্ত সাহা।

নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে ব্যাডমিন্টন ইভেন্টে ৬ উপজেলা অংশ নেয়। তরুণ এককে চ্যাম্পিয়ন হয় চাটখিল এবং রানার্স-আপ হয়েছে সেনবাগ। তরুণ দ্বৈতে সদর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্স-আপ হয়েছে সুবর্ণচর। তরুণী এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সদর উপজেলা ও রানার্স-আপ হয়েছে চাটখিল। তরুণী দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সদর উপজেলা এবং রানার্স-আপ হয়েছে চাটখিল। মিশ্র ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন সদর উপজেলা এবং রানার্সআপ হয়েছে চাটখিল।

মাগুরায় শ্রীপুর উপজেলা তরুনী ফুটবল দল ১৪-০ গোলে শালিখা উপজেলা তরুনী দলকে হারিয়েছে। শেখ কামাল ইনডোর স্টেডিয়াম চত্বরে টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতায় সদর উপজেলা দল শালিখা উপজেলা তরুনী দলকে হারিয়েছে। ব্যাডমিন্টনে সদর উপজেলা তরুন ও তরুনী দল একক ও দ্বৈত বিভাগে শালিখা উপজেলা দলকে হারিয়েছে। মহম্মদপুর তরুণ ফুটবল দল টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে শালিখা তরুন দলকে হারিয়েছে।  

কুড়িগ্রামে দাবা তরুণ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফাহাদ আল ফারাবী (রাজারহাট), ৫০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে (তরুণ) এ নুর আহমেদ (সদর), ব্যাকস্ট্রোকে আতিকুল হক (সদর) প্রথম ও আল নোমান (রাজারহাট) দ্বিতীয় হন। ৫০ মিটার বাটারফ্লাই ইভেন্টে আশিকুর রহমান (সদর) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

কারাতে তরুণ গ্রুপে জুলকারনাইন (রাজারহাট) ও তরুণী গ্রুপে অরণি (সদর) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কুস্তিতে তরুণ গ্রুপে জাহেদুল হক (সদর) ও তরুণী গ্রুপে মায়া আক্তার (সদর) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। লক্ষ্ণীপুরে ফুটবলে(তরুণ) কমলনগর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং সদর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে(তরুণী)। কাবাডি ইভেন্টেও কমলনগর ও সদর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।  

লালমনিরহাটে সাইক্লিং ইভেন্টে ৮০ জন খেলোয়াড় অংশ নেন এবং ব্যাডমিন্টনে একক, দ্বৈত, মিশ্র দ্বৈতে ১৫ টি দল অংশ নেয়। ব্যাডমিন্টন এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সদর উপজেলার মোসলেমা আক্তার মিশু তরুণী, আদিতমারি উপজেলার খেলোয়াড় সোয়াদ আল হাসান(তরুণ)। তরুণ দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন আদিতমারি উপজেলার খেলোয়াড় সোয়াদ আল হাসান ও আব্দুল্লাহ আল মোফাচ্ছের। তরুণী দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সদর উপজেলার কানিজ ইসরাত তরি ও ফাইজা আমিন সাবা। মিশ্র দ্বৈতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আদিতমারি উপজেলার সোয়াদ আল হাসান ও অনুপমা রায়। সাইক্লিংয়ের এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সদর উপজেলার দীপক রায়।

গোপালগঞ্জে কাবাডি তরুণ বিভাগে সদর উপজেলা ২৩-১৯ পয়েন্টে টুঙ্গিপাড়া উপজেলাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। অপরদিকে তরুনী বিভাগে কাবাডিতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৩০-১২ পয়েন্টে কাশিয়ানী উপজেলাকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। সাঁতারে ছেলেদের ইভেন্টে ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে ৩১ সেকেন্ড সময় নিয়ে কোটালীপাড়া উপজেলার মোহব্বির হালাদার প্রথম হন। ৫০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে ৪১ সেকেন্ড সময় নিয়ে কোটালীপাড়া উপজেলার ইজাজ আহম্মেদ প্রথম হন। ৫০ মিটার বাটারফ্লাইতে ৩৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে কোটালীপাড়া উপজেলার ইজাজ আহম্মেদ প্রথম হন। ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে ১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে মুকসুদপুর উপজেলার নাহিদ শেখ প্রথম হন।  

১০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে ১ মিনিট ৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে মুকসুদপুর উপজেলার কালাম মোল্যা প্রথম হন। মেয়েদের ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে ১ মিনিট ৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে মুকসুদপুর উপজেলার বিথি খানম প্রথম হন। ৫০ মিটার ব্রেস্ট্রটোকে ১ মিনিট ১৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে মুকসুদপুর উপজেলার বিথি খানম প্রথম হন। ৫০ মিটার বাটার ফ্লাইতে ১ মিমিট ০৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার হাসি আক্তার প্রথম হন।  

১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে ১ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার তানিয়া খানম প্রথম হন। ১০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ড সময় নিয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার মরিয়ম সুলতানা খানম প্রথম হন। ১০০ মিটার ব্রেস্ট্রটোকে ২ মিনিট ২২০ সেকেন্ড সময় নিয়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার তানিয়া খানম প্রথম হন।

চট্টগ্রামে টেবিল টেনিস খেলার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামে সাবেক মেয়র ও সিজেকেএসের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আ. জ. ম. নাসিরউদ্দিন। তরুণ ইভেন্টে কর্ণফুলী উপজেলার রাফসান রাফাতকে হারিয়ে ফটিকছড়ির মোস্তাকিমুল ইসলাম সায়েম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। দ্বৈত ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফটিকছড়ি উপজেলার মোস্তাকিুমল ইসলাম সাযেম ও আরিফ আমিন জুটি। রানার্সআপ হয়েছেন কর্ণফুলী উপজেলার রাফসান রাফাত ও বুরহান উদ্দিন জুটি।

ভোলায় তরুণ কাবাডিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সদর উপজেলা এবং রানার্সআপ হয়েছে লালমোহন উপজেলা। তরুণী কাবাডিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সদর উপজেলা এবং রানার্সআপ বোরহানউদ্দিন উপজেলা।

জয়পুরহাটে কাবাডি ফাইনাল খেলায় জয়পুরহাট সদর উপজেলা তরুণী দল ৪৪-২৬ পয়েন্টে পাঁচবিবি উপজেলা তরুণী দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কাবাডি ফাইনাল খেলায় সদর উপজেলা বনাম পাঁচবিবি উপজেলা তরুণী দল অংশগ্রহন করে। এতে সদর উপজেলা তরুণী দল ৪৪-২৬ পয়েন্টে পাঁচবিবি উপজেলা তরুণী দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।  

নড়াইলে টেবিল টেনিস দ্বৈত বালক গ্রুপে সদর উপজেলার রুদ্র দেবনাথ ও সৌমিক মন্ডল চ্যাম্পিয়ন এবং রানার আপ লোহাগড়ার রাফিদ মাহমুদ পিয়াস ও উৎস দেবনাথ। টেবিল টেনিস দ্বৈত বালিকা গ্রুপে সদর উপজেলার এশা ও অনিকা বসু চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্রআপ লোহাগড়ার মিম্মা শরীফ ও শ্রেয়সী দাস। টেবিল টেনিস একক বালক গ্রুপে সদর উপজেলার রুদ্র দেবনাথ চ্যাম্পিয়ন ও লোহাগড়ার সৌমিক মন্ডল রানার আপ।  

একক বালিকা গ্রুপে সদর উপজেলার লক্ষী দত্ত চ্যাম্পিয়ন ও লোহাগড়ার এশা রানার আপ। অ্যাথলেটিক্স বালক ১০০ মিটার দৌড়ে চ্যাম্পিয়ন লোহাগড়ার ইশতিয়ার আহম্মেদ দিপু এবং সদর উপজেলার জিসান আহম্মেদ রানার আপ হন। বালক ২০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন লোহাগড়ার ইশতিয়ার আহম্মেদ দিপু এবং সদর উপজেলার ছোটন কর্মকার রানার আপ হন। বালক ৪০০ মিটার দৌঁড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন লোহাগড়ার ইশতিয়ার আহম্মেদ দিপু এবং সদর উপজেলার আরমান রানার আপ হন। বালক ৮০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন লোহাগড়ার সিয়াম হোসেন এবং কালিয়া উপজেলার অরুপ বিশ্বাস রানার আপ হন।  

বালক ১৫০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন লোহাগড়ার সিয়াম হোসেন এবং সদর উপজেলার তুষার শেখ রানার আপ হন। দীর্ঘ লাফ(তরুণ) লোহাগড়ার নাছির চ্যাম্পিয়ন এবং কালিয়া উপজেলার অরুপ বিশ্বাস রানার আপ হন। উচ্চ লাফ লোহাগড়ার নাছির চ্যাম্পিয়ন এবং কালিয়া উপজেলার অরুপ বিশ্বাস রানার আপ হন। লৌহ গোলক নিক্ষেপ (তরুণ)সদর উপজেলার রাহুল চ্যাম্পিয়ন এবং লোহাগড়ার উপজেলার শহিদুল ইসলাম রানার আপ হন।  

বালিকা ১০০ মিটার দৌঁড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সদর উপজেলার নন্দিতা কর্মকার এবং লোহাগড়ার উপজেলার সামিয়া খানম রানার আপ হন। বালিকা ২০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন সদর উপজেলার নন্দিতা কর্মকার এবং লোহাগড়ার উপজেলার সামিয়া খানম রানার আপ হন।  

অ্যাথলেটিক্স বালিকা ৪০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সদর উপজেলার শায়লা খানম এবং কালিয়া উপজেলার ইশিতা রানার আপ হন। বালিকা ৮০০ মিটার দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন সদর উপজেলার শায়লা খানম এবং লোহাগড়ার উপজেলার নিশিতা কর্মকার রানার আপ হন। বালিকা ১৫০০ মিটার দৌঁড় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন লোহাগড়া উপজেলার শায়লা খানম এবং সদর উপজেলার নুপুর রানার আপ হন।  

দীর্ঘ লাফ লোহাগড়ার উপজেলার সামিয়া খানম চ্যাম্পিয়ন এবং সদর উপজেলার নন্দিতা কর্মকার রানার আপ হন। উচ্চ লাফে লোহাগড়ার উপজেলার সামিয়া খানম চ্যাম্পিয়ন এবং সদর উপজেলার সাধনা রানার আপ হন। লৌহ গোলক নিক্ষেপ সদর উপজেলার নিশিতা চ্যাম্পিয়ন এবং লোহাগড়ার উপজেলার সাধনা রানার আপ হন।  

 বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২৩
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।