ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

খেলা

শুরু হচ্ছে আন্তঃ স্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
শুরু হচ্ছে আন্তঃ স্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা

আগামী ১৪ জানুয়ারি সারাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র আধুনিক ক্রীড়ার রূপকার শহীদ শেখ কামালের নামকরণে ‘শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩’ শুরু হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া গত নভেম্বরে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যায় থেকে এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্যোগ নেন।

১৯৭৪ সালের পর সারা দেশব্যাপী এই প্রথম এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে যাচ্ছেন। তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অ্যাথলেটিকসকে শিক্ষার্থীদের নিকট আকর্ষনীয় ও জনপ্রিয় করা এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারিরীক, মানসিক ও নান্দনিক বিকাশসহ প্রতিযোগি মনোভাব গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশব্যাপী একটি ক্রীড়া আন্দোলন সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজন করা প্রয়োজন।  

প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আজ (১২ জানুয়ারী) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের  সহ-সভাপতি এড. নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব মোঃ হুমায়ুন কবির (কবি), জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ, ফেডারেশনের সহ-সভাপতি জনাব মোঃ ফারুকুল ইসলামসহ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের উর্ধ্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ।

৪টি ধপে এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হবে। প্রথমে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে, এই ধাপের খেলা আয়োজিত হবে ১৪-২৮ জানুয়ারী পর্যন্ত। দ্বিতীয় পর্যায়ে আয়োজিত হবে জেলা পর্যায়ের খেলা। ০১-০৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত এই পর্যায়ের খেলা আয়োজিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়ের খেলা আয়োজিত হবে ০৯-১৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। সবশেষে  আয়োজিত হবে জাতীয় পর্যায়ের খেলা।

এই প্রতিযোগিতা উপজেলাধীন ২/৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গুচ্ছ-গ্রুপ তৈরী করে আন্তঃগ্রুপ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে ‍প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করা হবে। উপজেলা পর্যায়ের বিজয়ী প্রতিযোগীদের নিয়ে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা এবং জেলা পর্যায়ের বিজয়ী প্রতিযোগীদের নিয়ে বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করা হবে। পরবর্তীতে বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ী প্রতিযোগীদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বৃহৎ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।

সারা দেশব্যাপী ৫০০টি উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সমমানের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে প্রায় ৫০ লক্ষ অ্যাথলেট অংশগ্রহন করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ফেডারেশনের কর্মকর্তারা। এ প্রতিযোগিতা শ্রেনীভিত্তিক ৪টি গ্রুপে ৩২টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।