ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খেলা

চার হাজার অ্যাথলেট নিয়ে শুরু হচ্ছে যুব গেমসের মূল পর্ব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
চার হাজার অ্যাথলেট নিয়ে শুরু হচ্ছে যুব গেমসের মূল পর্ব

যুব গেমসের প্রথম পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে মূল পর্বের খেলা।

দেশের নানা প্রান্ত থেকে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের ধাপ পেরিয়ে উঠে আসা চার হাজার অ্যাথলেট এবার নামবেন সেরা হওয়ার লড়াইয়ে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতাটির শুভ উদ্বোধন করবেন বলে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জানান বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিওএ সহ-সভাপতি ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমেদ, উপ-মহাসচিব ও গেমস স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মিকু, কোষাধ্যক্ষ ও টেকনিক্যাল কমিটির সেক্রেটারি এ. কে. সরকার এবং গেমসের প্রধান সমন্বয়কারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা জানান, ২০১৮ সালে যুব গেমসের প্রথম আসরে ২১টি ডিসিপ্লিনে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবার ডিসিপ্লিন সংখ্যা ২৪টি। এবারের আসরে আন্তঃউপজেলা, আন্তঃজেলা ও চূড়ান্ত তথা জাতীয় পর্যায়ে সবমিলিয়ে আনুমানিক ৬০ হাজার ক্রীড়াবিদ, প্রশিক্ষক/টিম ম্যানেজার, টেকনিক্যাল কর্মকর্তা ক্রীড়া সংগঠক অংশগ্রহণ করছেন। সেখান থেকে চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করছেন প্রায় চার হাজার ক্রীড়াবিদ।

গেমস সম্পর্কে শেখ বশির আহমেদ বলেন, ‘নিজস্ব তহবিল থেকে আমরা গেমসের প্রাথমিক পর্ব শুরু করেছিলাম। এ পর্বে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের অ্যাথলেটরা অনুশীলনের আওতায় রয়েছে। ইতোমধ্যে তৃণমূলে আমরা একঝাঁক প্রতিভাবান অ্যাথলেটের সন্ধান পেয়েছি। ’ 

উদ্বোধন ও সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পর্কে শেখ বশির আহমেদ বলেন, ‘স্বল্প ব্যয়ে যথাসম্ভব জমকালো আয়োজনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ’

এক প্রশ্নের জবাবে বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘২০১৮ সালের গেমসে যারা ভালো করেছে, তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ; ক্রীড়াবিদ হিসেবে বিভিন্ন সংস্থা ও বিকেএসপিতে যুক্ত আছেন। এমন ক্রীড়াবিদের সংখ্যা ৩০০ থেকে ৩৫০ জন। প্রথম যুব গেমস থেকে উঠে আসা ক্রীড়াবিদদের অনেকেই বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে নিজেদের সেরা অ্যাথলেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ’ 

এবারের আসরে যেসব ক্রীড়াবিদ ভালো করবেন, তাদের আগামী দিনের অ্যাথলেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন মহাসচিব।  

গেমস আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বিকেএসপির অ্যাথলেটরাও নিজ জেলা ও বিভাগের হয়ে অংশগ্রহণ করছেন। তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে আমরা বঞ্চিত করতে পারি না। বিভিন্ন ইভেন্টে বিকেএসপির অ্যাথলেটদের পরের স্থানগুলোতে থাকা অ্যাথলেটদের মনিটরিং করছে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনগুলো। সেখানে প্রতিভাবান অ্যাথলেট থাকলে তাদের অবশ্যই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রাখা হবে। ’


গেমসে বাস্কেটবল ইভেন্ট সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের বাস্কেটবল কোর্টে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।  ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ ফুটবল অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কৃত্রিম টার্ফে। হ্যান্ডবল খেলা অনুষ্ঠিত হবে এম. মনসুর আলী স্টেডিয়ামে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ।  

মওলানা ভাসানি স্টেডিয়ামে হকি অনুষ্ঠিত হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ। কাবাডি স্টেডিয়ামে কাবাডি অনুষ্ঠিত হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে  ৩ মার্চ। পল্টন ময়দানে ১ থেকে ৩ মার্চ রাগবি অনুষ্ঠিত হবে।  

ভলিবল ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে শহীদ নুর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে। ১ থেকে ৩ মার্চ আরচারি অনুষ্ঠিত হবে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামে। ১ থেকে ৩ মার্চ আর্মি স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিকস অনুষ্ঠিত হবে। শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে ব্যাডমিন্টন অনুষ্ঠিত হবে ২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি।  

মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে বক্সিং ইভেন্ট। দাবা  অনুষ্ঠিত হবে ২৫ থেকে ২৮ মার্চ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দাবা কক্ষে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমনেশিয়ামে ১ থেকে ৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে জিমন্যাস্টিকস। ২৬ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে জুডো। একই ভেন্যুতে ১ থেকে ২ মার্চ কারাতে অনুষ্ঠিত হবে।  

জাতীয় শ্যূটিং স্পোর্টস ফেডারেশনে ১ থেকে ৩ মার্চ শ্যূটিং ইভেন্টগুলো অনুষ্ঠিত হবে। মিরপুরে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে ২ থেকে ৪ মার্চ সাঁতার অনুষ্ঠিত হবে। আর্মি স্কোয়াশ কমপ্লেক্সে স্কোয়াশ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ।  

আর্মি স্টেডিয়ামে ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি সাইক্লিং অনুষ্ঠিত হবে। ১ থেকে ৩ মার্চ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে টেবিল টেনিস অনুষ্ঠিত হবে। তায়কোয়ানদো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জিমনেশিয়ামে ২৬ থেকে ২৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।  

সেনা ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের উশু শেড-এ ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ ভারোত্তোলন অনুষ্ঠিত হবে। ১ থেকে ৩ মার্চ কুস্তি অনুষ্ঠিত হবে শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে। শহীদ নুর হোসেন জাতীয় ভলিবল স্টেডিয়ামে ২ থেকে ৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে উশুর খেলাগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।