ঢাকা: প্রথমার্ধে দুই গোল হজম করা প্যারাগুয়ে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে। আর তাতে ম্যাচের ৬০ মিনিটে দলের পক্ষে সাফল্য এনে দেল ভালদেজ।
অবশ্য তিন মিনিট পর অর্থাৎ ৬৩ মিনিটে কিছুটা কঠিন সুযোগ মিস করেন মেসি। এর চার মিনিট পর আবারও সুযোগ মিস করেন আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম গোলদাতা অ্যাগুয়েরো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বদলি খেলোয়াড় মাঠে নামায় প্যারাগুয়ে। প্রথমার্ধে মাত্র ২৪ শতাংশ দখলে থাকা দলটি হলুদ কার্ড পাওয়া অর্তিজের বদলি গঞ্জালেজকে মাঠে নামায়। আর মাঠে নেমেই অখেলোয়াড় সুলভ আচরণের দায়ে হলুদ কার্ড হজম করতে হয় তাকে।
প্রথমার্ধে মেসি-অ্যাগুয়েরোর জোড়া গোলে দিশেহারা হয়ে পরে প্যারাগুয়ে। দলটির দুই খেলোয়াড় প্রথমার্ধেই হলুদ কার্ড হজম করে বসেন।
২৯ মিনিটের দলের পক্ষে যে গোলটি করেন অ্যাগুয়েরো তা অ্যাসিস্ট করেন মেসি। এবার পেনাল্টি থেকে গোলের ব্যবধান বাড়ান ফুটবলের ‘বিস্ময় বালক’ লিওনেল মেসি। প্রথম গোলের মাত্র সাত মিনিট পর ৩৬ মিনিটে দলের পক্ষে দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। প্রথমার্ধ শেষে ২-০ গোলে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।
এ গোলের মাধ্যমে কোপা আমেরিকায় টানা পাঁচ ম্যাচে গোলের খড়া কাটালেন মেসি। এর আগে ২০০৭ সালে মেক্সিকোর বিপক্ষে সর্বশেষ গোল করেন তিনি।
খেলার ১৮ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনা ৯টি ফাউল করে। আর প্যারাগুয়ের খেলোয়াড়রা করেন ১২টি।
আর্জেন্টিনা ৫টি কর্নারের সুযোগ পেলেও কোনো সুযোগ পায়নি প্যারাগুয়ে। তবে ৭০ মিনিটের মাথায় প্রথম র্কনারের সুযোগ পায় প্যারাগুয়ে।
বাংলাদেশ সময় শনিবার (১৩ জুন) দিনগত রাত সাড়ে তিনটায় স্তেদিও লা পোর্তাদে দি লা সেরেনায় মুখোমুখি হয়েছে দু’দল।
দু’দলের সর্বশেষ পাঁচবারের মুখোমুখি সাক্ষাতেও আর্জেন্টিনার পাল্লা ভারি। তিন ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি মেসিরা ড্র করেছে একটি ম্যাচে আর হেরেছেও একটি ম্যাচে। ২০১৩ সালের শেষ দেখায় আজেন্টিনা জিতেছিল ৫-২ ব্যবধানে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৭ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৫
জেডএস
** অ্যাগুয়েরোর পর মেসির আঘাত
** অ্যাগুয়েরোর গোলে এগিয়ে আর্জেন্টিনা