ঢাকা: শুরু হয়ে গেছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ক্ষণ গণনা বা কাউন্টডাউন। ফ্রান্সে অনুষ্ঠেয় ২০১৬ ইউরোর পর্দা উঠার আর ১০০ দিনও বাকি নেই।
আগামী ১০ জুন শুরু হয়ে ১০ জুলাইয়ের জমকালো ফাইনালের মধ্য দিয়ে ইউরোর ১৫তম আসরের পর্দা নামবে। এতে অংশ নিচ্ছে ইউরোপের সেরা ২৪টি টিম। ভেন্যু হিসেবে থাকছে ফ্রান্সের ১০টি শহরের দশটি স্টেডিয়াম। উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে রোমানিয়া।
ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে ছাড়িয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকেই এবার অন্যতম ফেভারিট ভাবা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রথমবারের মতো ইউরোর শিরোপা হাতে নিতে মুখিয়ে আছে ৬৬’র বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
তবে স্বাগতিক হিসেবে ফ্রান্সও এগিয়ে থাকবে। স্প্যানিশরাও নিশ্চয়ই শিরোপা ধরে রাখতে চাইবে। আর বর্তমান ফুটবল বিশ্বের নাম্বার ওয়ান (র্যাংকিংয়ে) দল বেলজিয়ামের সম্ভাবনাটাও উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
১৯৬০ সালে অনুষ্ঠিত ইউরোর প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি ছয়বার ফাইনাল খেলে তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয় জার্মানি (১৯৭২, ৮০, ৯৬)। স্পেনও তিনবার শিরোপা উল্লাসে মাতে। ১৯৬৪ সালে প্রথম সাফল্যের পর সবশেষ দুই আসরেই (২০০৮, ২০১২) ট্রফি ঘরে তোলে স্প্যানিশরা।
এবারের আসরের স্বাগতিক দেশ ফ্রান্স দুইবার ইউরোর শিরোপা জেতে (১৯৮৪, ২০০০)। এছাড়াও একবার করে এ শিরোপা জিতেছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইতালি (১৯৬৮), চেক প্রজাতন্ত্র (১৯৭৬), নেদারল্যান্ডস (১৯৮৮), ডেনমার্ক (১৯৯২) ও গ্রিস (২০০৪)।
আর ফাইনালে উঠেও শিরোপা হাতছাড়া করে যুগোস্লাভিয়া (১৯৬০, ৬৮), বেলজিয়াম (১৯৮০) ও পর্তুগাল (২০০৪)।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৬
আরএম