ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

খেলা

অলিম্পিক স্বর্ণ খোয়াতে পারেন বোল্ট!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৬
অলিম্পিক স্বর্ণ খোয়াতে পারেন বোল্ট! ছবি:সংগৃহীত

ঢাকা: দুঃসংবাদ বিশ্বসেরা দৌড়বিদ উসাইন বোল্টের জন্য। বেইজিং ২০০৮ অলিম্পিকে ৪০০ মিটারের দৌড়ে দলীয় রিলেতে পাওয়া স্বর্ণ হারাতে পারেন তিনি।

কারণ, সে সময়ে তার সতীর্থ নেস্তা কার্টারের রক্তের ‘এ’ স্যাম্পলে মিথাইলহোক্সানামিন নামে নিষিদ্ধ ড্রাগ পাওয়া গিয়েছে।

 

যদি কার্টারের রক্তের ‘বি’ স্যাম্পলে ওই নিষিদ্ধ ড্রাগ পাওয়া যায় তাহলে তার উপর নিষেধাজ্ঞা নেমে আসতে পারে।

 

বেইজিংয়ের বার্ড নেস্ট স্টেডিয়ামে ৪০০ মিটারে চার জনের পালাক্রমে সেই দৌড়ে প্রথমেই ছিলেন কার্টার। আর শেষ দৌড়বিদ হিসেবে জ্যামাইকাকে স্বর্ণ পাইয়ে দেন বোল্ট। কার্টার যদি ড্রাগ টেস্টে সত্যিই পজিটিভ প্রমাণিত হন, তবে দলের মাইকেল ফ্রেটার ও আসাফা পাওয়েলসহ চারজনকেই হারাতে হবে স্বর্ণ।

পরের বার ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকেও ৪০০ মিটার রিলেতে বোল্টের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন কার্টার। তবে সেবার রেকর্ড ৩৬.৮৪ সেকেন্ড সময়ে স্বর্ণ জিতলেও ড্রাগ টেস্ট নিয়ে কোনো সমস্যা থাকছে না।

বোল্ট ২০০৮ ও ২০১২’তে টানা দু’বার বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ১০০ মিটার (ব্যক্তিগত) ২০০ মিটার (ব্যক্তিগত) ও রিলেতে স্বর্ণ জিতেছেন। আসছে রিও অলিম্পিকেও তিনি এই তিনটি ইভেন্টে স্বর্ণ জয়ের আশা করছেন। তবে কার্টার নিষিদ্ধ প্রমাণ হলে হারাতে হবে একটি স্বর্ণ।

২০০৪ সালে ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ডব্লিউএডিএ) মিথাইলহোক্সানামিনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। পরে ২০১১ সালে ‘স্পেসিফায়েড সাবস্টেন্স’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি সিদ্ধান্ত নেয় ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকের প্রতিযোগীদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করবে। কমিটির মতে, এর আগে রক্তের নমুনা পরীক্ষার পদ্ধতি খুব একটা উচ্চমানের ছিল না। ফলে রক্তের নমুনায় নিষিদ্ধ ড্রাগ থাকা সত্ত্বেও তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ধরা পড়েনি। এখন অনেক বেশি আধুনিক হয়েছে পরীক্ষা পদ্ধতি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ০৫ জুন, ২০১৬
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।