ঢাকা: আগামী ০৫ আগস্ট থেকে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিওতে শুরু হতে যাচ্ছে ক্রীড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় আসর অলিম্পিক। আসরটির রীতি অনুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অলিম্পিকের মশাল প্রদক্ষিণ করে বর্তমানে ব্রাজিলে অবস্থান করছে।
এই মশালের আগুনে নেভানো হয় না। তবে গত বুধবার ঘটে এক অপ্রীতিকর ঘটনা। দেশটির শহর জইনভ্যালীতে এক অ্যাথলেট মশাল নিয়ে দৌড়ানোর সময় পাশে থেকে এক উত্তেজিত জনতা এসে আগুন প্রায় নিভিয়েই ফেলেছিলেন।
অ্যাথলেটের চারপাশে পুলিশ থাকায় নেভানো যায়নি মশালের আগুন। সেই উত্তেজিত লোকটি আগুন নেভানোর জন্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করেছিলেন।
এর আগে গত মাসে আরও একবার অলিম্পিক মশালের আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। মারাকাজুতে এক ব্যক্তি আগুনের ওপর ঠান্ডা পানি ঢেলে দিয়েছিলেন। তবে সে যাত্রায়ও নেভানো যায়নি আগুন।
ব্রাজিল অলিম্পিক আয়োজনের পর থেকে এর বিরোধীতা করে আসছিল দেশটির একদল জনতা। এর বড় কারণ দেশটির অর্থনৈতিক মন্দা। ফলে ধারণা করা হচ্ছে অলিম্পিক আয়োজনের পর আরও খারাপ অবস্থায় যেতে হতে পারে ব্রাজিলকে।
এদিকে প্যারিস ও নিসের পর এবার জঙ্গিদের নিশানা রিও, এমনই আশঙ্কা করছে ফ্রান্স। অলিম্পিকের শহরকে তাই বাড়তি সতর্ক থাকতে বলেছেন ফরাসি গোয়েন্দারা। প্যারিসে জঙ্গিহানার তদন্ত করতে গিয়েই নাকি অলিম্পিকের সময় রিওতে হামলার শঙ্কার কথা জানতে পেরেছে ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী।
পুলিশ এবং সেনাবাহিনী মিলিয়ে ব্রাজিলে মোট পঁচাশি হাজার নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। যাদের ওপর দশ হাজার পাঁচশো অ্যাথলেট ও অলিম্পিকের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে আসা সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ভার রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ১৬ জুলাই, ২০১৬
এমএমএস