এই আয়োজনের মাধ্যমে (bn24.islam@gmail.com ঠিকানায় ইমেইল করে) পাঠক তার রমজান বিষয়ক প্রশ্ন করে জেনে নিতে পারেন উত্তর। পবিত্র কোরআন ও হাদিস শরিফের আলোকে পাঠকের জিজ্ঞাসার উত্তর দেবেন বিশিষ্ট মুফাস্সিরে কুরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী।
নুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: কী কী কারণে রোজা ভাঙে না?
উত্তর:
০১. অনিচ্ছাকৃত গলার ভেতর ধুলা-বালি, ধোঁয়া অথবা মশা-মাছি প্রবেশ করা।
০২. অনিচ্ছাকৃত কানে পানি প্রবেশ করা।
০৩. অনিচ্ছাকৃত বমি আসা অথবা ইচ্ছাকৃত অল্প পরিমাণ বমি করা (মুখ ভরে নয়)।
০৪. বমি আসার পর নিজে নিজেই ফিরে যাওয়া।
০৫. চোখে ওষুধ বা সুরমা ব্যবহার করা।
০৬. ইনজেকশন নেওয়া।
০৭. ভুলক্রমে পানাহার করা।
০৮. সুগন্ধি ব্যবহার করা বা অন্য কিছুর ঘ্রাণ নেওয়া।
০৯. নিজ মুখের থু-থু, কফ ইত্যাদি গলাধঃকরণ করা।
১০. শরীর ও মাথায় তেল ব্যবহার করা।
১১. ঠাণ্ডার জন্য গোসল করা।
১২. দিনের বেলায় ঘুমের মধ্যে স্বপ্নদোষ হওয়া।
১৩. মিসওয়াক করা। যদিও মিসওয়াক করার ক্ষেত্রে দাঁত থেকে রক্ত বের হয়। তবে শর্ত হলো গলার ভেতর না পৌঁছানো।
১৪. ভুলে পানাহার করলে।
১৫. স্ত্রীলোকের দিকে তাকানোর কারণে বীর্যপাত হলে।
১৬. স্ত্রীকে চুম্বন করলে, যদি বীর্যপাত না হয় (রোজা না ভাঙলেও এটা রোজার উদ্দেশের পরিপন্থি)।
১৭. দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা গোশত খেয়ে ফেললে (যদি পরিমাণে কম হয়), পরিমাণ বেশি হলে রোজা ভেঙে যাবে।
জবাব প্রদানে: মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
লেখক: বিশিষ্ট মুফাসসিরে কুরআন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব।
চেয়ারম্যান: বাংলাদেশ মুফাসসির সোসাইটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৮
এমএ/