চড় খেয়েও গর্বিত বরুণ ধাওয়ান। ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’য় কাজ করতে গিয়ে গল্পের প্রয়োজনে তাকে গুনে গুনে ২২ বার চড় খেতে হয়েছে।
এ ছবির মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মতো বরুণের সঙ্গে কাজ করেছেন আলিয়া ভাট। তাদের নতুন ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ১১ জুলাই। এরই মধ্যে তবে ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’ নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল না তাদের কারও। তাদের মতে এটি এ বছরের কম বাজেটের ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম। ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ মুক্তির পর তারা দু‘জনই যখন নিজেদের এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তখন তাদের কাছে এ ছবির প্রস্তাব আসে। তাই বাজেট-পারিশ্রমিক না দেখেই কাজটা করতে রাজি হয়েছিলেন। কারণ প্রযোজক যে করণ জোহর! তার বাকি ছবিগুলোর তুলনায় সেট বা শুটিং স্পটের জন্যও খুব বেশি খরচ হয়নি।
বেশিরভাগ দৃশ্যায়ন হয়েছে ভারতের চন্ডিগড় ও মুম্বাইয়ে। এমনকি গানের চিত্রায়নেও গতানুগতিক সেটের কোনো উপস্থিতি ছিল না। ব্যতিক্রম ‘স্যাটারডে স্যাটারডে’ গানটি। এতে দেখানো হয়েছে পার্টি ও রাতের ডিস্কোবারের জৌলুশ।
ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে প্রচারণার সময় বরুণ বেশ কয়েকবারই এই ছবিটিকে শাহরুখ খান অভিনীত ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবির আধুনিক রুপ। এমনকি এই ছবিতে বরুণ ধাওয়ানকে শাহরুখ খানের অনেক বড় ভক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। বলিউডে মাইলফলক হিসেবে যে কয়টি ছবির নাম নেওয়া হয় সেগুলোর মধ্যে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ অন্যতম। তাই এ ছবির সফলতার কিছুটাও যদি ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’কে ছুঁতে পারে তাহলেও হয়তো ছবিটি ১০০ কোটির ক্লাবে নাম লেখাতে পারবে।
আলিয়ারও এ ছবির বক্স অফিসের হিসাব-নিকাষ নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা নেই। কম বাজেটের ছবি বলেই হয়তো তাদের প্রত্যাশা কম। তবে প্রচারণার সময় সমগ্র ভারত জুড়েই সাড়া পেয়েছেন এই নতুন জুটি। আলিয়া নিজের চরিত্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন ‘আগের তিনটা ছবির চেয়ে আমার এই চরিত্রটি সম্পূর্ণ আলাদা। পাঞ্জাবি মেয়েদের প্রাণবন্ত উচ্ছ্বাস ফুটিয়ে তুলেছি গোটা ছবি জুড়েই। ’
করণ জোহর পরিচালিত ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন বরুণ। এতে তার পাশাপাশি ছিলেন বলিউডের সাম্প্রতিক সময়ের অন্য দুই সফল অভিনেতা সিদ্ধার্থ মালহোত্রা ওআলিয়া ভাট। এ ছবির পর বরুণ ‘ম্যায় তেরা হিরো’ আর আলিয়া মাঝে কাজ করেছেন ‘হাইওয়ে’ আর ‘টু স্টেটস’ ছবিতে।
আবার তারা এক ছবিতে ফ্রেমবন্দি হলেন। তাদের মধ্যে গড়ে ওঠা পর্দার বাইরের সখ্য এক্ষেত্রে সহায়ক হয়েছে বলে মনে করেন অনেকেই। যদিও তারা নিজেদেরকে শুধু ভালো বন্ধু বলেই পার পেতে চান।
আলিয়া ও বরুণ দু’জনেরই বাবা বলিউডের সাড়া জাগানো সব ছবির পরিচালক। কিন্তু তারা এই জগতে বাবার পরিচয়ে নয় নিজের যোগ্যতা দিয়েই জায়গা করে নিয়েছেন। বরুণ সম্প্রতি বাবা ডেভিড ধাওয়ানের পরিচালনায় ‘ম্যায় তেরা হিরো’তে অভিনয় করলেও আলিয়ার সেই সৌভাগ্য এখনও হয়নি। আলিয়া মনে করেন, যতই ভালো অভিনয়ই করুন না কেন, বাবা মহেশ ভাটের সুনাম কুড়ানো সম্ভব নয়। কারণ তার বাবা প্রতিদিনই মেয়েকে আগের দিনের চেয়ে ভালো কাজ করার উৎসাহ দেন। তিনি মনে করেন, ভালোর কোনো শেষ নেই। মহেশ ভাট মনে করেন, আলিয়ার মধ্যে স্বভাবসিদ্ধ অভিনয় প্রতিভা আছে।
বাংলাদেশ সময় : ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৪