মঞ্চ আর ছোট পর্দার গণ্ডি পেরিয়ে ধীরে ধীরে বড় পর্দায় আলাদা অবস্থান গড়ে নিচ্ছেন আনিসুর রহমান মিলন। অভিনয় দেখানোর সুযোগ আছে এমন চরিত্রগুলোই বেছে নিচ্ছেন তিনি।
মিলনের ভক্তদের দিন গোনার পালা শেষ হয়েছে। ৩১ অক্টোবর পুরান ঢাকার চিত্রামহল ও ভোলার রূপসী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তার নতুন ছবি ‘অনেক সাধের ময়না’। ৭ নভেম্বর থেকে সারাদেশের আরও ৭৬টি প্রেক্ষাগৃহে এটি চলবে। ১৪ নভেম্বর মুক্তি পাবে তার আরেক ছবি ‘প্রেম করবো তোমার সাথে’। বাংলানিউজের মুখোমুখি হয়েছেন মিলন।
বাংলানিউজ : ‘অনেক সাধের ময়না’ ছবির মনা চরিত্রটি কেমন?
মিলন : চরিত্রটি কিছুটা মনস্ততাত্বিক। প্রথমে তাকে সহজ-সরল ছেলে হিসেবে দেখানো হয়। গল্প যত এগোবে, মনের মানুষকে পাওয়ার জন্য ততো মরিয়া হয়ে ওঠে সে। চরিত্রটিকে দর্শকরা উপভোগ করছে। ভোলার একটি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর অনেক ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।
বাংলানিউজ : ভোলাতেই তো এ ছবির দৃশ্যধারণ হয়েছিল?
মিলন : হ্যাঁ। তখন দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার চলছিল। এ কারণে প্রতিদিনই অনেক শংকা নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। অবশ্য স্থানীয়রা আমাদের বেশ সহযোগিতা করেছেন। আমরা কাজ করেছি এক মাস পাঁচদিন। এ ছবিতে আমার সহশিল্পী বাপ্পী ও মাহিয়া মাহি।
বাংলানিউজ : ‘প্রেম করবো তোমার সাথে’ ছবিটি নিয়ে কিছু বলুন।
মিলন : এতে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছি। ছবিটির গল্পে আলাদাভাবে আমার চরিত্রটি খুঁজে পাবে দর্শকরা। এতে আমার সহশিল্পী মম।
বাংলানিউজ : নতুন কী ছবি হাতে নিলেন?
মিলন : ‘রাত্রীর যাত্রী’। এতে আমার সহশিল্পী মৌসুমী। ২০০৬ সালে ‘লাভ বার্ড’ নামের একটি টেলিছবিতে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছিলাম। তখন তো মৌসুমী সুপারস্টার। আট বছর পর আবার তাকে সহশিল্পী হিসেবে পাচ্ছি, এটা আমার জন্য নিঃসন্দেহে ভালোলাগার ব্যাপার।
বাংলানিউজ : চলচ্চিত্রে কী ভাবনা নিয়ে পথচলা শুরু করেছিলেন?
মিলন : আমাদের চলচ্চিত্রাঙ্গনে অভিনয়নির্ভর নায়ক ছিলো না তেমন। যেমন রোমান্স, কমেডি ও অ্যাকশন তিনটাই সমানতালে করতে পারা। তাই আমার মূল চাওয়া ছিল এমন নায়ক হওয়া। সেদিকেই এগোচ্ছি। বাকিটা দর্শকদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।
বাংলানিউজ : এখন চলচ্চিত্রের কাজ করাটা কেমন লাগছে?
মিলন : বেশ ভালো লাগছে। দুই বছরের মধ্যে নয়টি ছবি পেয়েছি। এটা আমার জন্য উল্লেখ করার মতো বিষয়। এখন পর্যন্ত চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য ভালো সাড়া পাচ্ছি। এজন্যই কাজটা উপভোগ করছি।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৪