ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

পাঁচ রজনী কাটুক সুরের মায়াজালে

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৪
পাঁচ রজনী কাটুক সুরের মায়াজালে

সুর-তাল-ছন্দের মূর্ছনা ছড়াতে শুরু হচ্ছে স্কয়ার নিবেদিত ‘বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব-২০১৪’। শীতের আবহে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ২৭ নভেম্বর থেকে পাঁচ দিনের এ উৎসবে শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধ করবেন উপমহাদেশের শাস্ত্রীয়সংগীতের বরেণ্য সংগীতজ্ঞ ও গুণী শিল্পীরা।

তাদের সংগীতধ্বনি মোহিত করে দেবে পাঁচ রজনী। ধ্রুপদি সংগীতের সুর মূর্ছনায় বর্ণিল হবে রাতগুলো।

১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন রাতভর সুরে-তালে-নৃত্যছন্দে জমে উঠবে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত বর্ণিল এই উৎসব। সুর-তাল ও নৃত্যের বিভায় পাঁচ রাত ধরে মন্ত্রমুগ্ধ হওয়ার পালা।

তৃতীয়বারের মতো এই উৎসব আয়োজন করেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীনকে। আগের দু’বার উৎসব ছিল চারদিনের। এবারের আয়োজন পাঁচ দিনের। শুরু ও সমাপনী দিনে সম্মিলিত কণ্ঠে বাংলা গান গাইবেন ৪০ জন প্রথিতযশা শিল্পী। সংগীতায়োজনে ফোয়াদ নাসের বাবু। তত্ত্বাবধান করছেন বুলবুল ইসলাম।

সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠবে প্রথম দিনের অধিবেশন। এরপর পরিবেশন করা হবে ‘ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা’ এবং ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমার দেশের মাটি’। এগুলো সম্মেলক কণ্ঠে গাইবেন অদিতি মহসিন, অনিন্দিতা চৌধুরী, আজিজুর রহমান, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, বুলবুল ইসলাম, চন্দনা মজুমদার, ইলোরা আহমেদ শুক্লা, ফাহিম হোসেন চৌধুরী , ফরিদা পারভীন,  ইফফাত আরা দেওয়ান, জান্নাত-ই-ফেরদৌসী, ঝুমা খন্দকার, খায়রুল আনাম শাকিল, কিরণ চন্দ্র রায়, লাইসা আহমেদ লিসা, মাসুদা নার্গিস আনাম, মিতা হক, মহিউজ্জামান চৌধুরী, নাসিমা শাহিন, প্রিয়াঙ্কা গোপ, শাহীন সামাদ, শহীদ কবির পলাশ, শামা রহমান,  শারমিন সাথী ইসলাম, সেমন্তি মঞ্জরী, সুবীর নন্দী, সুমা রানী রায়, তানিয়া মান্নান, ইয়াসমিন মুশতারী ও ইয়াকুব আলী খান।

শেষ দিনে থাকছে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’, ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’ এবং ‘এই পদ্মা এই মেঘনা’। জানা গেছে, উৎসবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, লালন সাঁই, কাজী নজরুল ইসলাম, দিজেন্দ্রলাল রায় থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধসহ নানা ঘরানার বাংলা গান থাকছে এবার।

উৎসবের বড় আকর্ষণ ভারতীয় উচ্চাঙ্গসংগীতের দুই পুরোধা বিদুষী কিশোরী আমানকর ও ওস্তাদ আমজাদ আলী খানের পরিবেশনা। আমজাদ আলীর দুই সুযোগ্য পুত্র আমান আলী খান আর আয়ান আলী খানও থাকছেন। উৎসবের প্রথম দিন যে  ক’জন শিল্পী গানে-সুরে সুরেলা মোহ ছড়িয়ে দেবেন, এক ঝলকে জেনে নিন তাদের কিছু তথ্য।

আজিনক্যা যোশি (তবলা)
আজিনক্যা যোশি সাত বছর বয়সে তবলার সুপ্রসিদ্ধ গুরু সুরেশ তালওয়ালকারের শিষ্য শান্তিলাল শাহের কাছে তালিম নেওয়া শুরু করেন। ১৬ বছর বয়সে আজিনক্যা যোশি মুম্বাই চলে যান এবং পণ্ডিত সুরেশ তালওয়ালকারের কাছে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিবিড় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তরুণ শিল্পীদের জন্য ভারত সরকারের জাতীয় বৃত্তি এবং ১৯৯৯ সালে বিষ্ণু দিগম্বর পালুস্কার পুরস্কার পান তিনি।

রুচিরা কেদার (কণ্ঠ)
রুচিরা কেদার গোয়ালিয়র-জয়পুর ঘরানার শীর্ষস্থানীয় তরুণ কণ্ঠশিল্পী। বাবা দিলীপ কালের কাছে বুনিয়াদি শিক্ষা গ্রহণের পর ড. অলকা দেও মারুলকারের কাছে কণ্ঠসংগীতের সুক্ষ্ম দিকগুলোতে তালিম নেন তিনি। এরপর কলকাতার আইটিসি সংগীত রিসার্চ অ্যাকাডেমির আবাসিক বৃত্তি পেয়ে পণ্ডিত উলহাস কাশালকারের কাছে অমূল্য প্রশিক্ষণ লাভের সুযোগ পান রুচিরা। বিদুষী গিরিজা দেবীর কাছে ঠুমরি, দাদরা, হোরি, কাজরির তালিম নেন তিনি। পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ললিতকলা কেন্দ্রের ছাত্ররা তার পরামর্শ নিয়ে থাকে।

রাজরূপা চৌধুরী (সরোদ)
পাঁচ বছর বয়সে সরোদ প্রশিক্ষণ শুরু করেন রাজরূপা চৌধুরী। প্রণব নাহার তত্ত্বাবধানে ওস্তাদ আমির খান যন্ত্রসংগীত বিদ্যালয়ে শেখা শুরু করেন তিনি। কিছুদিন পরই সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরীর শিষ্যত্ব নেন এবং দু’দশকেরও বেশি সময় তার কাছে তালিম নেন। পণ্ডিত অজয় সিংহ রায় এবং জয়দীপ ঘোষের কাছেও সংগীতে দীক্ষা গ্রহণ করেন তিনি। ২০০৬ সাল থেকে অধ্যাপক সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সংগীত পরিবেশনায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন রাজরূপা। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যন্ত্রসংগীতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে স্নাতকোত্তর পেরিয়ে আসেন তিনি। ১৯৯৯ সালে ডোভার লেন সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার, ২০০১ সালে আইটিসি-এসআরএ প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী পুরস্কার, জাতীয় সরকারি বৃত্তিসহ অনেক জাতীয় সংগীত পুরস্কার পেয়েছেন রাজরূপা। তিনি বিশ্বের নানা জায়গায় সংগীত পরিবেশন করেছেন।

বিদুষী মালবিকা সারুক্কাই (ভরতনাট্যম)
মালবিকা সারুক্কাই বহু পুরস্কারজয়ী প্রথিতযশা ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী। তিনি থানযাভুর ঘরানার গুরুকে কল্যাণসুন্দরম পিল্লাই এবং ভাযুভুর ঘরানার গুরু রাজারাত্নামের কাছে তালিম শুরু করেন। এ ছাড়া গুরু কলানিধি নারায়ণণের কাছে ‘অভিনয়া’, গুরু কেলুচরণ মহাপাত্র এবং গুরু রামানি রানজান জেনার কাছে ওড়িশি নৃত্য শেখেন তিনি। ঐতিহ্যের সঙ্গে সমকালীনতার মিশ্রণে মালবিকা সারুক্কাইকের নাচ সারাবিশ্বের দর্শককে মোহিত করেছে। বিশ্বের নানারকম নাচ নিয়ে বিবিসি/ডবি­উনেটের তৈরি ‘ড্যান্সিং’ নামের ৯ ঘণ্টার ধারাবাহিকে তার অসাধারণ কলা তুলে ধরা হয়েছে। ভারত সরকার তার জীবন ও শিল্প নিয়ে ‘সমর্পণম’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছে। মালবিকা সারুক্কাই ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে অনেক সিনিয়র ফেলোশিপ এবং অনুদান পেয়েছেন।

ওস্তাদ শাহিদ পারভেজ খান (সেতার)
ভারতের মুম্বাইয়ে ১৯৫৫ সালে প্রখ্যাত ইতাওয়াহ ঘরানার সপ্তম প্রজন্ম হিসেবে ওস্তাদ শাহিদ পারভেজ খানের জন্ম। তার বাবা গুরু ওস্তাদ আজিজ খান ছিলেন প্রখ্যাত সংগীতকার ও সুরস্রষ্টা। তার কাছেই সংগীতের তালিম শুরু শাহিদের। চাচা ওস্তাদ হাফিজ খানের কাছে কণ্ঠসংগীত এবং দিল্লি-ঘরানার ওস্তাদ মুন্নু খানের কাছ থেকে তবলায় তালিম নেন তিনি। ভারত ও ভারতের বাইরে সব উল্লেখযোগ্য সংগীত উৎসবেই বাজিয়েছেন ওস্তাদ শাহিদ পারভেজ খান। সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, পদ্মশ্রী এবং এমএল কোসেরসহ অসংখ্য পুরস্কার এসেছে তার ঘরে।

ওস্তাদ মোহাম্মদ আকরাম খান (তবলা)
আজরারা ঘরানার বিশিষ্ট শিল্পী ওস্তাদ আকরাম খান প্রাথমিক তালিম নেন প্রয়াত ওস্তাদ নিয়াজু খানের কাছে। প্রপিতামহ ওস্তাদ মোহাম্মদ শফি খানের কাছেও দীক্ষা নিয়েছেন তিনি। আকরাম খান বাণিজ্যে স্নাতক ডিগ্রীধারী। তার বাবা ওস্তাদ হাশমত আলী খানের তত্ত্বাবধানে রেওয়াজ করেন তিনি। অল্প বয়স থেকে উচ্চাঙ্গসংগীত সম্মেলনগুলোতে তবলা বাজানো শুরুর পর সারাবিশ্বের অনেক উৎসবে অংশ নিয়েছেন ওস্তাদ মোহাম্মদ আকরাম খান।

পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী (কণ্ঠসংগীত)
১৯৫৩ সালের ৭ জানুয়ারি কলকাতায় পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর জন্ম। শৈশব থেকেই সংগীতে বিরল প্রতিভার প্রকাশ ঘটান তিনি। উত্তর ভারতীয় সংগীতে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন বাবা অজিত চক্রবর্তীর কাছে। এরপর অজয় চক্রবর্তী তালিম নেন কানাই দাস বৈরাগীর কাছে। পণ্ডিত জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের কাছে তালিম নিয়ে সংগীতে তার দক্ষতা পরিণত হয়। আইটিসি-এসআরএ’র শুরু থেকেই তিনি এর সঙ্গে ছিলেন এবং ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠানটির প্রথম স্কলার হিসেবে সনদ লাভ করেন পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী। এরপর প্রতিষ্ঠানটির সর্বকনিষ্ঠ গুরুর দায়িত্ব নেন। সেই পদে এখনও বহাল আছেন। এখন তিনি বিশেষজ্ঞ কমিটিরও সদস্য। পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর পুরস্কার ও অর্জনের তালিকা দীর্ঘ। আইটিসি-এসআরএ থেকে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত প্রথম ছাত্র তিনি। ২০০০ সালে পেয়েছেন সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, ২০১১ সালে ভূষিত হয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কারে। ৪৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগেই পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী পেয়েছেন কুমার গন্দর্ভ অ্যাওয়ার্ড ফর দ্য বেস্ট মিউজিশিয়ান অব ইন্ডিয়া।

দেবাশীষ ভট্টাচার্য (স্লাইড গিটার)
১৯৬৩ সালে কলকাতায় দেবাশীষ ভট্টাচার্যের জন্ম। বাবা-মা দু’জনই উচ্চাঙ্গসংগীত শিল্পী হওয়ায় সংগীতের প্রাথমিক বোধ পরিবারেই গড়ে ওঠে তার মধ্যে। চার বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেন তিনি। এরপর স্লাইড গিটারে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত বাদনে অগ্রদূত পণ্ডিত ব্রিজ ভূষণ কাবরার কাছে এক দশক নিবিড় প্রশিক্ষণ নেন দেবাশীষ ভট্টাচার্য। ভারতীয় স্লাইড গিটারের ডিজাইনেও পরিবর্তন এনেছেন তিনি। ২০০৭ সালে বিবিসি প্লানেট অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়ার্ল্ড মিউজিক জয়ী দেবাশিষ ভট্টাচার্য বিশ্বের অনেক খ্যাতিমান শিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছেন।

পণ্ডিত যোগেশ শামসি (তবলা)
মাত্র চার বছর বয়সে বাবা প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী পণ্ডিত দিনকার কাইকিনির কাছে তবলায় হাতেখড়ি হয় যোগেশ শামসির। পরে পণ্ডিত এইচ, তারানাথ রাওয়ের কাছে তালিম নেন তিনি। তবে, প্রবাদপ্রতীম ওস্তাদ আল্লারাখার কাছে ২৩ বছরের প্রশিক্ষণ যোগেশ শামসিকে একজন নিপুণ তবলা বাদকে পরিণত করে। যোগেশ শামসি একজন শিক্ষক হিসেবেও অত্যন্ত সম্মানিত। পশ্চিমে যেসব শিক্ষকরা তবলা শেখান, তাদের জন্য বিশেষ পাঠক্রম তৈরি করেছেন তিনি। বিশ্বে তবলা চর্চার প্রসারে এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

জেনে নিন...
উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবের পাঁচ দিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে আয়োজন শুরু হয়ে চলবে ভোর পর্যন্ত। যাতায়াতের জন্য থাকছে পরিবহনের সুব্যবস্থা। আবদুল্লাহপুর থেকে বাস ছাড়বে বিকেল ৫টায়। উত্তরা, বিমানবন্দর, খিলখেত, বিশ্বরোড, শেওরা হয়ে বনানী আর্মি স্টেডিয়াম আসবে এটি। ফেরার পথেও এসব স্থানে নামা যাবে। বিকেল ৪টায় আরেকটি বাস ছাড়বে গোলাপবাগ থেকে। মানিকনগর, মুগদা, বাসাবো, খিলগাঁও ফ্লাইওভার, মালিবাগ, বাড্ডা, নতুন বাজার, বসুন্ধরা, বিশ্বরোড হয়ে বনানী আর্মি স্টেডিয়ামে আসবে এটি। ফেরার পথে এসব স্থানের পাশাপাশি বনানী, গুলশান ২, রামপুরা, সায়েদাবাদ নামা যাবে। বিকেল ৪টায় শাহবাগ থেকে একটি বাস ছেড়ে বাংলামোটর, ফার্মগেট, বনানী, মহাখালী হয়ে বনানী আর্মি স্টেডিয়ামে আসবে। এসব স্থানের পাশাপাশি ফেরার পথে নামা যাবে বাংলা গেট, গুলিস্তান, মতিঝিল (শাপলা চত্বর) ও কমলাপুরে। বিকেল ৪টায় জিগাতলা থেকে ধানমন্ডি-১৫, শংকর, ধানমন্ডি ২৭, সংসদ ভবন, মহাখালী হয়ে আরেকটি বাস আসবে বনানী আর্মি স্টেডিয়ামে। ফেরার পথে নামা যাবে বনানী, নভোথিয়েটার (বিজয় সরণি), বিডিআর পিলখানা আর সিটি কলেজেও। মিরপুর ১২ থেকে বিকেল ৪টায় বাস ছেড়ে পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, তালতলা, আগারগাঁও, মহাখালী হয়ে আসবে বনানী আর্মি স্টেডিয়ামে। পল্লবী থেকে আরেকটি বাস ছাড়বে বিকেল সাড়ে ৪টায়। মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, মিরপুর ২, মিরপুর ১, মিরপুর বাংলা কলেজ, মিরপুর টেকনিক্যাল, শ্যামলী, আসাদ গেট, কলেজ গেট, সংসদ ভবন, ফার্মগেট (খেজুর বাগান) হয়ে বনানী আর্মি স্টেডিয়ামে আসবে এটি।

বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে সুর-তাল-ঝংকারে নানা আয়োজন ধারণ করে রাখবে মাছরাঙা টেলিভিশন। পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে এগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রচার করবে বেসরকারি চ্যানেলটি।

উচ্চাঙ্গসংগীতের সুর-লয়ের খেয়ায় ভেসে যেতে অসংখ্য আগ্রহী শ্রোতা নাম নিবন্ধন করেছিলেন। তাদের উপস্থিতি আর ধ্রুপদি সংগীতের মহিরূহ শিল্পীদের পরিবেশনায় এই উৎসব সাঙ্গ হবে ১ ডিসেম্বর। আশা করা হচ্ছে, আগের দু’বারের মতোই এবারও শীত ভুলে এই কটা রাত ঘুমাবে না ঢাকা! সুর আর বাদনের তরঙ্গে মোহিত হয়ে থাকবে সবাই।

বাংলাদেশ সময় : ২২০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ