ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

তারার ফুল

তানিয়া বৃষ্টির সঙ্গে কিছুক্ষণ

ঘাসফুল বড়পর্দার স্বপ্নটা পূরণ করেছে

কামরুজ্জামান মিলু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৫
ঘাসফুল বড়পর্দার স্বপ্নটা পূরণ করেছে তানিয়া বৃষ্টি/ ছবি: নূর /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এরইমধ্যে স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে তানিয়া বৃষ্টি অভিনীত চলচ্চিত্র ‘ঘাসফুল’। এটা তার বড়পর্দায় মুক্তি পাওয়া প্রথম ছবি।

পরিচালনা করেছেন আকরাম খান। ইমপ্রেস টেলিফিল্মের নতুন প্রকল্প বুটিকস সিনেমার আওতায় এটি নির্মিত হয়। এ ছবিসহ নানা বিষয় নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।  

বাংলানিউজ: ‘ঘাসফুল’ ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন?
তানিয়া বৃষ্টি :
ঘাসফুল ছবিতে আমি একজন কলেজ পড়ুয়া মেয়ে এবং এ ছবির মূল চরিত্র আসিফের খুব ভালো বন্ধু।

বাংলানিউজ: দৃশ্যধারণ চলাকালীন মনে রাখার মতো কোনো ঘটনা মনে পড়ে?
তানিয়া বৃষ্টি :
কাজ করতে গিয়ে অনেক মজা করেছি। শুটিং শেষে আমরা সকলে ঘুরতে বের হতাম, এটা এখনও মনে পড়ে।

বাংলানিউজ: বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে, অনুভূতিটা কেমন?
তানিয়া বৃষ্টি :
অনুভূতি অনেক ভালো। স্বপ্ন ছিলো নিজেকে বড়পর্দায় দেখবো। ঘাসফুল ছবির মাধ্যমে তা পূরণ হয়েছে।

বাংলানিউজ: ‘অবলা নারী’ ছবিতে কাজ করে কেমন লাগছে?
তানিয়া বৃষ্টি :
অনেক ভালো লেগেছে। কারণ এ ছবির চরিত্র অনেক মজার। এর বেশিকিছু এখন বলতে চাই না।

বাংলানিউজ:  ‘অবলা নারী’ ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন?
তানিয়া বৃষ্টি :
খুবই ফুরফুরা প্রকৃতির মেয়ের চরিত্রে দেখা যাবে আমাকে। সারাদিন আশপাশের লোকদের মাতিয়ে রাখে মেয়েটা।

বাংলানিউজ: ‘দরজার ওপাশে’ আর ‘লাভার নাম্বার ওয়ান’ ছবির কী খবর? এগুলোতে আপনার চরিত্র কেমন?
তানিয়া বৃষ্টি :
‘দরজার ওপাশে’ ছবির ‍কাজ শেষ। খুব শিগগিরই দেখতে পাবেন দর্শকরা। এখানে আমাকে তিন ধরনের চরিত্রে দেখতে পাবে দর্শকরা। একটা চরিত্রের নাম জুলি। যে মারা গিয়ে নায়কের জন্য আবার ফিরে আসে। আর একটা যাত্রার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র। আর ‘লাভার নাম্বার ওয়ান’ ছবিতে একটি প্রতিবাদী মেয়ের চরিত্রে আমাকে দেখা যাবে।

বাংলানিউজ:  নতুন আর কী কী ছবি হাতে আছে?
তানিয়া বৃষ্টি:
নতুন কিছু ছবিতে কথা চলছে। সবঠিক হলে চমকে দিতে চাই দর্শকদের।

বাংলানিউজ:  আপনার ছোটবেলা কেটেছে কোথায়? শৈশবের গল্প বলুন।
তানিয়া বৃষ্টি :
আমি ঢাকাতেই বড় হয়েছি। ছোটেবেলা থেকে অনেক আমুদে স্বভাবের মেয়ে আমি। আর পরিবারের ছোট মেয়ে। সারাদিন খেলাধুলা করে বড় বোনের সাথে ঝগড়া করে পার করতাম সময়।  

বাংলানিউজ: পরিবারে আপনাকে আদর করে কি নামে ডাকা হয়?
তানিয়া বৃষ্টি :
সকলে আমাকে বৃষ্টি বলে ডাকে। আমার নানু আমার নাম রেখেছিলেন বৃষ্টি।

বাংলানিউজ:  কী হতে চেয়েছিলেন? কেনো হতে চেয়েছিলেন?
তানিয়া বৃষ্টি :
ছোট থেকে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে ছিল আমার। কিন্তু বড় হবার পর মিডিয়াতে কাজ করার বা চলচ্চিত্রে কাজ করার স্বপ্ন দেখেছি।

বাংলানিউজ:  এখন কী কী ধারাবাহিক নাটক চলছে?
তানিয়া বৃষ্টি :
কোনো ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছি না। আপাতত চলচ্চিত্রের কাজ নিয়ে ব্যস্ত।

বাংলানিউজ:  এ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কাজ?
তানিয়া বৃষ্টি :
শাকিব খানের সঙ্গে এশিয়ান ডুপ্লেক্সের টিভিসি এখন পর্যন্ত সেরা কাজ বলে মনে করি আমি।

বাংলানিউজ:  অভিনয় নিয়ে পরিবারের কারও সাথে আলোচনা করেন? আপনাকে কেউ ভুল ধরিয়ে দেয়?
তানিয়া বৃষ্টি :
অভিনয় নিয়ে পরিবারের সঙ্গে সবসময় আলোচনা করি। তারা আমার ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়।

বাংলানিউজ:  পড়াশোনা চলছে? নাকি শেষ?
তানিয়া বৃষ্টি :
অনার্স ১ম বর্ষে মার্কেটিং বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করছি।

বাংলানিউজ:  প্রেমের প্রস্তাব গত কয়েকদিনে কটা পেয়েছেন?
তানিয়া বৃষ্টি :
ফুল দিয়ে এখন তো আর কেউ প্রস্তাব দেয় না। কিন্তু ফেসবুকে অনেকে অনেক কিছু লিখে পাঠায়-এসব উপভোগ করি।  

বাংলানিউজ:  বিয়ে কবে?
তানিয়া বৃষ্টি :
বিয়ে নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই এখন। তাই বলতে পারি এক কথায়, বিয়ে দেরী আছে।

বাংলাদেশ সময় : ১১৪০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৫
এমকে/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ