ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তারার ফুল

তারারাও যে ইতিহাসের সাক্ষী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৫
তারারাও যে ইতিহাসের সাক্ষী

যেন গোটা সুন্দরবনটাই দেশের সীমানা থেকে সরে এসে ঘিরে নিয়েছিলো মিরপুর স্টেডিয়াম। এগারোজন টাইগার তাদের পরিচিত আশ্রয়ে বসে আগাগোড়া লড়ে গেলেন।

সহজেই তালুবিন্দ করে নিলেন ইতিহাসকে। ওইদিন স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজারো দর্শকদের মাঝে ছিলেন তারকারাও। গান, নাটক, চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখগুলো একটি ইতিহাসের সাক্ষী হতে ছুটে গিয়েছিলেন স্টেডিয়ামে।

বলছি ২১ জুন ভারতকে টানা দুই ম্যাচে হারিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের কথা। গ্যালারিতে বসে সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি বিজয়ের আভাস পেতে গলা ফাটিয়েছেন তারকারাও।

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মাহি তো রীতিমতো নাচের প্রস্তুতি নিয়েই গিয়েছিলেন। আরও সবার মতো তিনিও বুঝতে পেরেছিলেন, এ জয় প্রেডিক্টেবল। ফসকে যাওয়ার কোনো কারণই নেই। যদিও শিডিউলে খেলা দেখতে স্টেডিয়াম পর্যন্ত যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আগে থেকে ছিলো না তার।

কিন্তু একদিকে বাংলাদেশ দল মিরপুরে স্মরণীয় মুহূর্ত নামিয়ে ফেলছে বৃষ্টির মতো, অন্যদিকে তিনি শুটিংস্পটে, সিরিয়াস মিটিংয়ে, কিংবা ঘরে- এ যেন ঠিক মেলে না। একই শহরে বসে এমন সব দৃশ্য সামনাসামনি না দেখতে পাওয়া দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কী! ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে প্রায় শেষ মুহূর্তে টিকিট সংগ্রহ করে কাই মাহি বসে পড়লেন গ্যালারিতে।

বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটাই লাক্স-তারকা আলভীর মাঠে বসে দেখা প্রথম ম্যাচ। এর আগে তিনি নাকি কখনও স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখেননি। জ্যাম, দীর্ঘ লাইন, মানুষের ভিড় ডিঙিয়ে গ্যালারি পর্যন্ত পৌঁছাতে যতটুকু অনভ্যস্ত ক্লান্তি জমেছিলো শরীরে, বিনিময়ে পেলেন তার অনেক কিছু। বহুদিন পর্যন্ত মনে রাখার মতো অনেক মুহূর্ত।

নওশীনকে স্টেডিয়ামে প্রায়ই দেখা যায়। তিনি আবার একা যান না। রীতিমতো দল বেঁধে। ২১ জুন তার সঙ্গে ছিলেন টিভি নাটকের দুই পরিচিত মুখ মুমতাহিনা টয়া ও ঈশিকা খান। যখন মুস্তাফিজের উপর্যুপরি আক্রমণে বিধ্বস্ত ভারতীয় ক্রিকেট, তখন তারা ব্যস্ত সেলফি তোলায়। সেলফি তারা আগেও তুলেছেন। বহুদিন। বহুবার। কিন্তু এটা অন্য সময়।

নওশীন-টয়া-ঈশিকা যেখানে দাঁড়িয়ে জয়োৎসবে গলা মেলাচ্ছিলেন, তার খানিকটা পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও গীতিকার কবির বকুল। ফেরদৌসের প্রথম প্রযোজনার ছবি ‘এক কাপ চা’র সময়ও তাকে মাঠে পাওয়া গিয়েছিলো। কমেন্ট্রি বক্সে। নিজের ছবির প্রচারেই এসেছিলেন তখন। কিন্তু গতকালটা ছিলো শুধুই বাঁধভাঙা উচ্ছ¡াসের। অবশ্য ব্যক্তি উদ্দেশ্য একটা ছিলো তার- ইতিহাসের সাক্ষীর খাতায় নিজের নামটা টুকে দেওয়া।

সারাটা দিন নাটকের কাজ নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন সাজু খাদেম। কিন্তু কতোক্ষণ! শুটিং ফেলে তিনিও তখন মিরপুরের পথে। স্টেডিয়ামে পাওয়া গেলো তাকেও। উচ্ছাসে গা ভাসালেন। জয়গান গাইলেন বাংলাদেশের, মাশরাফির, মুস্তাফিজের।

গানের মানুষ শফিক তুহিন, কিশোর, জয় শাহরিয়ার- তারাও গিয়েছিলেন। অনেকদিন পর মাঠে পাওয়া দেখা গেলো তমালিকা কর্মকারকেও। আর নিয়মিত মুখ হিসেবে ছিলেন জয়শ্রী কর জয়া, মুনিরা ইউসুফ মেমীর মতো গুণী অভিনেত্রীদের। ছিলেন উপস্থাপিকা সামিয়া আফরিন, মারিয়া নূর।


বাংলাদেশ সময় : ১৩১৪ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ