ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

তারার ফুল

মাইকেল জ্যাকসনের জানা-অজানা

জনি হক, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৫
মাইকেল জ্যাকসনের জানা-অজানা মাইকেল জ্যাকসন (জন্ম : ২৯ আগস্ট ১৯৫৮, মৃত্যু : ২৫ জুন ২০০৯)

পৃথিবীকে হয়তো তিনি ভাবতেন চাঁদের মাটি! গোড়ালিতে চাপ দিয়ে দু’পা এগিয়ে-পিছিয়ে বিখ্যাত নাচ ‘মুনওয়াক’ পরিবেশন করে মুগ্ধ করে গেছেন দর্শক-শ্রোতাদের। ছয় বছর আগে তিনি চলে গেছেন চিরশান্তির দেশে।

তিনি মাইকেল জ্যাকসন। তার শিল্প ছিলো আগাগোড়া চমকে মোড়া। মৃত্যুর আগে দুই দশক ধরে পপসংগীত, বিনোদন আর মাইকেল জ্যাকসন ছিলেন প্রায় সমার্থক। ভৌগোলিক সীমারেখা ছাড়িয়ে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে পৃথিবীর বিশাল অংশ তার সংগীত ও নাচে আবিভক্ত।

মৃত্যুর ছয় বছর পেরিয়ে গেছে, তবে এখনও সংবাদপত্রের শিরোনাম হন জ্যাকসন। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে আজও তিনি অমর। সম্ভবত গান যতোদিন থাকবে ততোদিন এ মহাতারকার অমরত্ব টিকে থাকবে সগৌরবে। সবার স্মৃতিতেই বারবার ফিরে ফিরে আসবেন মাইকেল জ্যাকসন। বিশ্ববরেণ্য এই শিল্পীর মৃত্যুবার্ষিকীতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দেওয়া হলো জানা-অজানা কিছু তথ্য।

* গানের মানুষ হলেও স্পাইডারম্যান চরিত্রে অভিনয় করতে প্রচুর আগ্রহ ‍ছিলো জ্যাকসনের। এমনকি ১৯৯০ সালে মারভেল কমিকসের এ চরিত্রটির স্বত্ত্ব কিনে নিতে চেয়েছিলেন তিনি!

* যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তাবারবারায় নেভারল্যান্ড র‌্যাঞ্চ নামে জ্যাকসনের একটি প্রাসাদ আছে। এর ভেতরে নাগরদোলা, খেলনা ও পিটার প্যানের মূর্তি রাখতেন তিনি। পিটার প্যান আর জাদুকরী চরিত্র উইজার্ড অব ওজ তার খুব প্রিয় ছিল জীবনের শেষ মুহূর্ত অবধি।

* জ্যাকসনের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার পেছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে তার ষষ্ঠ স্টুডিও অ্যালবাম ‘থ্রিলার’। মাত্র এক বছরের মধ্যে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া অ্যালবামের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে এটি। এখনও অটুট আছে সেই রেকর্ড। সারাবিশ্বে এর প্রায় ১০ কোটির বেশি কপি বিক্রি হয়েছে। অ্যালবামটি সব রেকর্ড ভেঙে ১৯৮৪ সালে আটটি গ্র্যামি পুরস্কার জিতে নেয়। ‘থ্রিলার’-এর এই অভাবনীয় জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ এর মিউজিক ভিডিও। এতে ভৌতিকভাবে উপস্থাপন করা হয় পপসম্রাটকে। এ গানের মাধ্যমেই মূলত বিশ্বব্যাপী মিউজিক ভিডিওর জনপ্রিয়তার প্রচলন শুরু হয়।

* জীবদ্দশায় নিজের অর্থায়নে লিউকেমিয়া এবং ক্যান্সার ইনস্টিটিউট স্থাপন করেন মাইকেল জ্যাকসন। শিশুদের জন্য এবং দুর্ভিক্ষপীড়িত মানুষের জন্য তিনি কোটি কোটি ডলার দান করে গেছেন। ১৯৯৬ সালে তার আয়ের অর্থ দিয়ে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।

* মাইকেল জ্যাকসন মৃত্যুর আগে তার ‘দিস ইজ ইট’ কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। দিন-রাত তিনি মহড়া করেছেন এর জন্য। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, তার আগেই তাকে চলে যেতে হলো পৃথিবী ছেড়ে। তাই কনসার্টও বাতিল হয়ে যায়। আয়োজক এইজি লাইভ ও সনি পিকচার্সের উদ্যোগে কনসার্টের মহড়াকে ‘দিস ইজ ইট’ নামের চলচ্চিত্রে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হয় দুই সপ্তাহের জন্য।

* মাদাম তুসো জাদুঘরে মাইকেল জ্যাকসনের মোমের মূর্তি ও অন্যান্য জিনিসপত্রের প্রদর্শনী হয়। এর মাধ্যমে তার শৈশব থেকে শুরু করে জ্যাকসন ফাইভ ব্যান্ডের সাফল্য ও তার মৃত্যু সম্পর্কে ধারণা পান দর্শনার্থীরা। জ্যাকসন মারা যাওয়ার পর ভক্তদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে তার পোস্টার, স্থিরচিত্র বা অটোগ্রাফ সংবলিত টি-শার্ট, মগ প্রভৃতি।

* মৃত্যুর পর জ্যাকসনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে কম্পিউটার গেম, এর নাম ‘মাইকেল জ্যাকসনস মুনওয়াকার’। এতে জ্যাকসনের বিখ্যাত নাচের মুদ্রার সঙ্গে আছে রোমাঞ্চকর মারামারি।

বাংলাদেশ সময় : ১৫৪৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ