ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

তারার ফুল

সময়ের প্রেক্ষাপটে বঙ্কিমের ‘কমলাকান্ত’

মনজুরুল আলম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৫
সময়ের প্রেক্ষাপটে বঙ্কিমের ‘কমলাকান্ত’

কালের পরিক্রমায় কিছু উদ্যমী প্রাণের সম্মিলিত প্রয়াসে নাট্যবেদের জন্ম। ‘মূখ্য নাটক লক্ষ্য মঞ্চ’ স্লোগান নিয়ে দেশের নাট্যআন্দোলনে শামিল হয়েছে দলটি।

এ পর্যন্ত তাদের প্রযোজনার সংখ্যা পাঁচটি। এবার এলো ষষ্ঠটি। গত ৮ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাট্যবেদের নতুন নাটক ‘কমলাকান্ত’র উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়। এটি তৈরি হয়েছে বাংলা সাহিত্যের লেখক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘কমলাকান্ত’ অবলম্বনে।

নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন নাসরীন মুস্তাফা, নির্দেশনায় গোলাম সারোয়ার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন আইটিআই বাংলাদেশ সভাপতি নাট্যজন নাসিরউদ্দীন ইউসুফ ও বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে নাট্যকার, নির্দেশক ও সংগীত পরিচালককে স্মারক তুলে দেন নাসিরউদ্দীন ইউসুফ।

শুরুতে নাট্যকার নাসরীন মুস্তাফা বলেন, বঙ্কিম চন্দ্রচট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্যকে নাট্যরূপে রূপদান এবং তা দর্শকের কাছে বোধগম্য করা সত্যিই দুঃসাধ্য এবং চ্যালেঞ্জের বিষয়। কিন্তু নাট্যবেদ অত্যন্ত সফলভাবে তা করতে পেরেছে। আশা করি, দর্শক বঙ্কিম সাহিত্যকে নতুনভাবে দেখতে পারবে। নির্দেশক গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যের এতো বড় একজন কিংবদন্তিকে নিয়ে কাজ করতে গেলে অনেক ভেবেচিন্তে করতে হয়। এর মধ্যে নাট্যবেদের অনেকেই নতুন, এই নাটকের মাধ্যমেই তাদের অভিষেক হচ্ছে। তাই এর ভুল-ত্রুটিগুলো ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখে নাটকটি উপভোগ করবেন।

বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান বলেন, ‘কমলাকান্ত হচ্ছে সমাজ-শৃঙ্খল ভাঙার এক মূর্ত প্রতীক। সে সহজে, সাবলীলভাবে সমাজের ভুলগুলো সবার সামনে নিয়ে আসতে পারে। যা এই মুহূর্তে খুব দরকার।

আইটিআই বাংলাদেশ সভাপতি নাট্যজন নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বলেন, যখন একটি নতুন নাটক মঞ্চে আসে সেটি অনেকটা ঈদের দিনের মতো নাট্যকর্মীদের কাছে। কারণ অনেক পরিশ্রম আর কষ্টের ফসল একটি নাটক। যা দর্শকের কাছে এলেই পূর্ণতা পায়। বঙ্কিম আসলে কমলাকান্তকে দিয়ে নিজের কথাগুলোই বলেছেন। দেশের এই অস্থির অবস্থায় এই নাটকটি সময়োপযোগী। নাট্যবেদ যে কঠিন কাজটি করেছে তার জন্য সবাইকে অভিনন্দন জানাই। ’

এরপর মঞ্চস্থ হয় ‘কমলাকান্ত’। এক্সপেরিমেন্টাল হলের সব দর্শক নাটকটি উপভোগ করেন। এক ঘণ্টা ২০ মিনিটের এস নাটক দর্শককে মুগ্ধ করেছে কখনও আফিমখোর কমলাকান্তের নানা ব্যঙ্গরসাত্মক উক্তি। কিংবা ভাবনাপ্রসূত পতঙ্গ, কুকুর, বেড়াল, মল্লিকাবৃক্ষ, ফুল ইত্যাদি চরিত্রের হঠাৎ সামনে আসা। শেষমেষ জবানবন্দি দিতে গিয়েই যে গোল বাঁধে তা মেলানো যেতে পারে সমাজশৃঙ্খলার সঙ্গে। যা খেপাটে গাভী এসে ভেঙে দেয়।

নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান, টিপু খান, মির্জা, সম্রাট, কানন আহমেদ, প্রমি আশরাফ, পাভেল কুমার সাহা, আবুল কাশেম রাতুল, ফারজানা মুক্তো, লিমন হোসেন, জহিরুল ইসলাম, বাবুল, সুমাইয়া সরকার, এম এইচ পলাশ, ইমরান, রিমন, রাবেয়া রাবু, সাহেদ আহম্মেদ-সহ অনেকে।

বাংলাদেশ সময় : ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৫
এমএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ